ASANSOL

আসানসোল শিল্পাঞ্চল বৈশাখের দাবদাহে পুড়ছে, ৪২ ডিগ্রির উপরে পারদ, আগামী তিনদিন আরো বাড়ার ইঙ্গিত আবহাওয়া দপ্তরের

সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের

বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৩ এপ্রিলঃ ( Asansol Weather ) বৈশাখ মাসের দাবদাহে পুড়ছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল। শনিবার এই মরশুমের গরমের প্রথম লু বা গরম হাওয়া শিল্পাঞ্চল জুড়ে বইছে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ চড়েছিলো ৪২ ডিগ্রির উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ২৪ ডিগ্রিতে বলে এদিন আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।
এদিন আবহাওয়া দপ্তর আগামী তিনদিনের জন্য যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষদের চিন্তার কারণ হবে। বলা হয়েছে রবিবার, সোমবার ও মঙ্গলবার আসানসোলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ ডিগ্রিতে। আগামী তিনদিন বৃষ্টির কোন সম্ভবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।


শনিবার সকাল থেকেই ছিলো চড়া রোদ। সাত সকালেই তাপমাত্রার পারদ এক ধাক্কায় উঠে যায় ৩৫ ডিগ্রিতে। তারপর বেলা যত বেড়েছে তাপমাত্রা তত বেড়েছে। দুপুরে তাপমাত্রা উঠে ৪২ ডিগ্রিতে। সেই সময় শিল্পাঞ্চলের সব রাস্তাঘাট ছিলো একবার শুনশান। তেমন ভাবে রাস্তায় লোক চলাচল ছিলোনা বললেই চলে। যারা রাস্তায় ছিলেন তাদের চোখ মুখ ছিলো একবারে ঢাকা।


এই সময়ে শিল্পাঞ্চলের মানুষদের রোদ ও হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা কি কি করতে হবে বা করা যাবে না, তাও বলে দিয়েছেন। আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, রোদে না বেরোনেই ভালো। বেরোলোও রোদ বাঁচিয়ে চলতে হবে। ঢিলেঢালা ফুল স্লিপ জামা কাপড় পড়তে হবে। যাতে সরাসরি রোদ গায়ে না লাগে। তিনি আরো বলেন, ঘন ঘন জল খেতে হবে। ঘাম হয়ে শরীর থেকে নুন বেরিয়ে বেরিয়ে যায়। তাই ওআরএস খেতে হবে। তা না পাওয়া গেলে নুন, চিনি মেশানো জন খাওয়া যেতে পারে। কোনকিছু না হলে, নরম্যাল জন খেতেই হবে।

বিশেষ করে যারা, যেমন ট্রাফিক পুলিশ, বাস বা গাড়ির চালক তাদেরকে জল খেতেই হবে । সুপার বলেন, বাড়িতে ঢুকে ঠান্ডা জল খাওয়া, গায়ে ঢালা ও এসি ঘরে যাওয়া একবারেই যাওয়া যাবে না। আগে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক করে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই সময় জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বা হাসপাতালে যাওয়া একবারে জরুরি। কেন রোদ বা গরম লেগে হিট স্ট্রোক হওয়ার একটা সম্ভবনা থাকে।

Leave a Reply