RANIGANJ-JAMURIA

রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক মৃত খুড়তুতো শ্বশুর এবং জামাই বাড়ি গিয়ে পরিবারদের সাহায্যের আশ্বাস দিলেন

বেঙ্গল মিরর, বাপ্পা ব্যানার্জী, রানীগঞ্জ:- জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চালবলপুর গ্রামের কাছে অবস্থিত সোলার প্ল্যান্ট এলাকার একটি পরিত্যক্ত খনি থেকে রহস্যজনকভাবে কাকা শ্বশুর এবং জামাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক মৃত ব্যক্তির পারিবারে সাথে দেখা করেন। সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দেন।এই সময়, মৃতের স্বজনরা ঘটনার পর থেকে স্থানীয় দলীয় নেতাদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ তোলেন,একইসঙ্গে দুজনকে খুন করার অভিযোগ আবারও সবার মন্ত্রীর সামনে তুলেন পরিবারে সদস্যরা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজনের খবরে রাণীগঞ্জ থানার নিমচা ফাড়ি পুলিশ পাশের গর্ত থেকে চাচা শ্বশুর ও জামাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে চলবলপুর এলাকার সোলার প্ল্যান্ট প্রকল্প এবং ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের নাম ৪২ বছর বয়সী বিপিন ভূঁইয়া এবং ২১ বছর বয়সী রাকেশ কুমার। চাপুই নম্বর ২ বালির বাঙ্কারের বাসিন্দা।

নিহত বিপিন ভূঁইয়ার স্ত্রী মীনা ভূঁইয়া দাবি করেন, তিনি নিশ্চিত যে দুজনকেই খুন করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় জামাই রাজেশ কুমার হাঁটতে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নির্জন গর্তে একসঙ্গে পাওয়া যায় দুজনের লাশ। তিনি বলেন, তার স্বামি ও জামাইকে নিশ্চয়ই কেউ হত্যা করে সেখানে ফেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খালি মদের বোতল ও গাঁজা পান উদ্ধার করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রবিবার রাজ্য মন্ত্রি মলয় ঘটক রানীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুণিয়া, রানীগঞ্জ গ্রামীণ যুব সভাপতি সনজিৎ মুখার্জি সহ একাধিক নেতৃবৃন্দ মৃতের বাড়িতে যান।পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাড়ির দুইজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাদের দুজনের কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না শুধু ন্যায়বিচার চায় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের তদন্ত করে শাস্তি দেওয়া হোক। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নিহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।

Leave a Reply