RANIGANJ-JAMURIA

বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবগঞ্জ এলাকায় পালা কীর্তন

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী,রানীগঞ্জ: দীর্ঘ প্রাচীন সময় ধরে চলে আসা পালা কীর্তন এর অনুষ্ঠান কর্মসূচি এবারও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবগঞ্জ এলাকায়। এলাকারই বসুমতি দেবীর দ্বারা পরিচালিত এই পালা কীর্তন দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষজনদের রাধাকৃষ্ণের ও চৈতন্য মহাপ্রভুর নাম সংকীর্তন ও তার বন্দনার লক্ষ্যে করে এসেছেন গ্রামীণ দের সাথেই বাসুমতী দেবীও।

আর তার প্রয়াণ এর পর সাহেবগঞ্জে তার ধর্মস্থল টিকে বাসমতি শিশু উদ্যান গড়ে তুলে সেই অংশে মন্দির স্থাপন করা হয় আজও করোনার আবহের পর 24 প্রহর হরিনাম সংকীর্তন মহোৎসবে মাতলাব সাহেবগঞ্জ অঞ্চলের বাসিন্দা। বুধবার সন্ধ্যায় হরি মন্দিরের উদ্বোধন করলেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি সহ আরো বৈশিষ্টজন, ।

এদিন বিধান উপাধ্যায় তার বক্তব্য দাবি করেন গ্রাম-গঞ্জ থেকে ধীরে ধীরে পালা কীর্তন উঠে যাচ্ছে, আর এরই মাঝে পুরনো ঐতিহ্য বজায় রাখতে সাহেবগঞ্জ অঞ্চলের মানুষজন যেভাবে বদ্ধ পরিকর রয়েছেন তা সত্যিই অতুলনীয়, সমাজে আজও দেব বন্দনা প্রভু বন্দনায় যেভাবে মেতে উঠেছেন অগণিত মানুষ তা সত্যিই প্রশংসনীয়। একইভাবে এই শিল্প ও সংস্কৃতি কে যেভাবে তারা ধারাবাহিকভাবে ধরে রেখেছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য বলে জানান দেন বিধান উপাধ্যায়। জানা গেছে 24 প্রহর ব্যাপী এই পালা কীর্তনের আসর আগামী পহেলা মে সম্পন্ন হবে। পালা কীর্তন উপলক্ষে বিভিন্ন নামিদামি কীর্তনীয়া পালা কীর্তন পরিবেশন করবেন এখানের অনুষ্ঠান মঞ্চে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সদস্যরা।

Leave a Reply