ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে , ট্রাফিক সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা

রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৩ মেঃ ( Asansol Local News In Bengali ) আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক হলো মঙ্গলবার দুপুরে। জেলা হাসপাতালের ডিএনবি কনফারেন্স হলে হওয়া এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। এছাড়াও ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, পুরনিগমের কাউন্সিলর গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, অনিমেষ দাস, জেলা হাসপাতালের সহকারী সুপার, চিকিৎসক, নার্সিং সুপার সহ অন্যান্যরা।


এদিনের বৈঠকে জেলা হাসপাতাল চত্বরে ট্রাফিক ব্যবস্থা, পার্কিং, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, পাইপলাইনের সাহায্য ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহ সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কোন কোন বিষয়ে কি কি করতে সেই বিষয়ে হাসপাতাল সুপারকে মন্ত্রী পরামর্শ দেন। পরে সুপার বলেন, হাসপাতালে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো হাসপাতাল চত্বরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ও পার্কিং। সকাল নটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়টায় গাড়ির সংখ্যা এতটাই বেড়ে যায় যে, হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী ও ক্যাম্পের পুলিশ দিয়ে তা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই ঐ সময়টায় অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার যাতে দেওয়া যায়, তা মন্ত্রীকে বলা হয়েছে। হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষী ও অন্য কর্মীদের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মন্ত্রীকে বলা হয়েছে কতজন কর্মী থাকার কথা, এখন কজন আছে।


হাসপাতালে গত চার মাসে প্রসূতি মৃত্যু ও রেফার করার হার অনেকটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে বলে তথ্য সহ এদিনের বৈঠকে মন্ত্রীকে জানানো হয়। মন্ত্রী শতাংশের হার জেনে সন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি এই দুটি ক্ষেত্রে আরো যাতে ভালো হয়, তারজন্য বলেছেন।
আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার জন্য এখনো এনওসি পাওয়া যায়নি। সেই বিষয়টি হাসপাতাল সুপার মন্ত্রীকে বলেন। মন্ত্রী তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাবেন বলে জানান।


করোনার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে জেলা হাসপাতালের জন্য ৫৪ জন কোভিড ভলেন্টিয়ার দেওয়া হয়েছিলো। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় সেই ভলেন্টিয়ারদের তুলে নেওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে জেলা হাসপাতালে কোন করোনা রোগী ভর্তিও নেই। তবুও এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী নতুন করে ২০ জনের মতো কোভিড ভলেন্টিয়ার নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি লেখার জন্য সুপারকে বলেন।

Leave a Reply