ASANSOL

আসানসোলে বেআইনী দখলদারদের রেলের জায়গা থেকে উচ্ছেদ ঘিরে উত্তেজনা

বাজার কমিটির সদস্যদের বিক্ষোভ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে থামল অভিযান

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৪ মেঃ ( Asansol Live News Today) আসানসোলের জিটি রোড ও লাগোয়া স্টেশন রোডে রেলের জায়গায় বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আসানসোল বাজার কমিটির বিক্ষোভ ও রাজ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে রেলের এদিনের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়। তবে তার আগে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আরপিএফ রেলের জায়গা থেকে বেআইনি জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেয়। আগাম কোন কিছু না জানিয়ে বা নোটিশ না দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সবকিছু সরিয়ে নিতে বলায় এলাকার দোকানদারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।


পাশাপাশি রেলের বিরুদ্ধে তাদের জায়গায় না থাকা সত্বেও উচ্ছেদ করায় রেলের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে এই অভিযান নিয়ে রেলের তরফে রাজ্য পুলিশকেও ( আসানসোল দক্ষিণ থানা) কোনকিছু আগে জানানো হয় নি বলে অভিযোগ। আসানসোল শহরে আসানসোল পুরনিগমের সামনে স্টেশন রোড ও জিটি রোড লাগোয়া সুভাষ ইন্সটিটিউটের সামনে এদিন সকাল থেকেই রেলের জায়গায় বেআইনি ভাবে দখল করে থাকা বিভিন্ন দোকান উচ্ছেদ করতে রেলের আধিকারিক ও আরপিএফের জওয়ানরা আসেন। এই অভিযান নিয়ে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই খবর পেয়ে আসানসোল বাজার কমিটির নেতা পিন্টু গুপ্তার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ এসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার আইসি কৌশিক কুন্ডুও সেখানে পৌঁছান। আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) তথাগত পান্ডে।


জিটি রোডেই পুলিশ ও পিন্টু গুপ্তার সঙ্গে রেলের আধিকারিকদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা হয়। রেলের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, রেলের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন যা কিছু নির্মাণ করা হয়েছে , তা ভেঙে ফেলা হবে। যেকোন অবস্থায় দোকানদারদের রেলের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। না হলে আইন মতো উচ্ছেদ করা হবে।
যদিও পিন্টু গুপ্তের দাবি, রেলের জায়গায় কোন দোকান নেই। রেলের পাঁচিলের বাইরে রয়েছে। হয়তো রেলের প্রাচীরে ছাউনি বা কিছু লাগানো রয়েছে। দোকানদাররা রাজ্য সরকারের জমিতে রয়েছেন। তবুও রেল তা দখল উচ্ছেদের কথা বলছে। তার প্রশ্ন, রেল এতে হস্তক্ষেপ করছে। যা তারা পারেনা।


অন্যদিকে, আসানসোল দক্ষিণ থানায় পুলিশের তরফে বলা হয়, এইভাবে অভিযান চললে শহরে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে, তাই এই অভিযান বন্ধ করা উচিত। আগাম রেলের তরফে জানানো উচিত ছিলো। শেষ পর্যন্ত রেল আধিকারিকরা এদিনের অভিযান স্থগিত রেখে ফিরে যান। এদিকে, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি বিধান উপাধ্যায়ও রেলের এই কাজের সমালোচনা করেছেন।

read also:পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া সংযোগকারী দামোদরে পাকা ব্রিজের দাবি, আসানসোল দক্ষিণ ও শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের অবস্থান বিক্ষোভ

यह समाचार भी पढ़े : Asansol में रेलवे ने हटाया अतिक्रमण मचा हड़कंप

Leave a Reply