পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া সংযোগকারী দামোদরে পাকা ব্রিজের দাবি, আসানসোল দক্ষিণ ও শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের অবস্থান বিক্ষোভ
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ অগ্নিমিত্রা পাল ও চন্দনা বাউরির
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৪ মেঃ ( Asansol Local News Today Live ) দামোদরের উপর পাকা ব্রিজের দাবিতে এবার আন্দোলনে নামলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ( MLA Agnimitra Pal )। তার সঙ্গে এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন দামোদরের ওপারের জেলা বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি ( Saltora Mla Chandana Bouri ) । দুই বিজেপি বিধায়ক একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সমালোচনায় সরব হন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![দামোদরে পাকা ব্রিজের দাবি](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/05/IMG-20220524-WA0067.jpg?resize=500%2C281&ssl=1)
মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্ণপুরের কালাঝড়িয়ার অদূরে নেহেরু পার্কের কাছে দামোদরে এখন যে পারাপারের জন্য বাঁশের সেতু আছে, তার উপরে অবস্থানে বসেন দুই বিধায়ক। তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপির সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় সহ আসানসোল দক্ষিণ ও শালতোড়ার নেতা ও কর্মীরা। দামোদর নদীর এপারে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল এবং ওপারে বাঁকুড়ার শালতোড়া। দুই জেলার এইসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকির পারাপার করেন এই বাঁশের সাঁকো বা সেতুর উপর দিয়ে। প্রতিবছর বর্ষার সময় এই সেতু ভেঙ্গে যায়। তখন বেশ কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। নড়বড়ে অস্থায়ী এই সেতুতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনাও ঘটে।
১৫ বছর আগে ইউপিএ জমানায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান ( বর্তমানে প্রয়াত) বার্ণপুরে এসে এই অস্থায়ী বাঁশের সেতুর পরিবর্তে একটি ব্রিজ তৈরীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিলান্যাস করেছিলেন। কিন্তু আজও তা হয়নি। যা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তরজায় জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল। সম্প্রতি রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, রাজ্য সরকার এখানে একটি ব্রিজ করবে। যারজন্য ব্যয় হবে ২০৪ কোটি টাকা। সেই কাজের একটি ডিপিআরও তৈরী করা হয়েছে।
এদিন অগ্নিমিত্রা পাল ব্রিজের দাবিতে সরব হয়ে বলেন, সরকার আসে, সরকার যায়। ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি থেকেই যায়। দুই জেলার কত মানুষ এই বাঁশের সেতু দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন। দেখলাম তারজন্য গাড়ি পিছু টাকাও নেওয়া হচ্ছে। কে এই টাকা নিচ্ছে? বর্তমান রাজ্য সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। কাজ কিছু করেনা। গোটা সরকারটাই দূর্নীতিতে ভরে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমি এই ব্রিজের জন্য দিল্লি গিয়ে মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির সঙ্গে কথা বলেছি। কেন্দ্র রাজি কিন্তু রাজ্য সরকার কিছু বলছে না। দিন কয়েক আগে শুনলাম মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেছেন, রাজ্য সরকার ২০৪ কোটি টাকা দিয়ে এখানে ব্রিজ তৈরী করবে। আমরা চাই তার ডিপিআর জনসমক্ষে আনা হোক। শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিও এদিন এই ব্রিজ তৈরী করা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন ।
অন্যদিকে, এই ব্রিজের দাবি নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, এদিন বলেন, কোন কাজ নেই। শুধু লোকদেখানো কিছু করে হাইলাইট হওয়ার চেষ্টা। এইসব করে কোন লাভ হবেনা। আসানসোলের কুমারপুরে জিটি রোডে কেন্দ্রের আর্থিক অনুদানে উড়ালপুল হওয়ার কথা। সেই কাজ এখন বন্ধ আছে। অগ্নিমিত্রা পালেদের উচিত সেই কাজ যাতে ত্বরান্বিত হয় সেদিকে নজর রাখা ও কেন্দ্র সরকারকে বলা। বিধানবাবু আরো বলেন, ঐ এলাকায় দামোদরের ওপর ব্রিজ নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তাই করেন।