ASANSOL

আসানসোলে প্রখর গ্রীষ্মে দেবাশীষ ঘটক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শরবত, ছোলা, বাতাসা বিতরণ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : মে মাসের শেষ হতে চললেও গ্রীষ্মের গরম প্রকোপ কমেনি। তাপপ্রবাহের সঙ্গে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে রয়েছে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি । তাতে এককথায় নাজেহাল শিল্পাঞ্চলের মানুষ। এই সময় যারা রোদে বাড়ির বাইরে বার হচ্ছেন তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। তৃষ্ণার্ত হলেও অনেকেই কিন্তু কাছাকাছি পানীয় জল অনেকেই খুঁজে পান না। আর এই পথচারীদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আসানসোল বিএনআর মোড়ে রবীন্দ্র ভবনের জিটি রোড লাগোয়া বাস স্ট্যান্ডের সামনে দেবাশীষ ঘটক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জলসত্র করা হয়। সেখান থেকে পথ চলতি সাধারণ মানুষ সহ বাস , অটো, টোটো ও দু চাকা, চারচাকা গাড়িতে মানুষদের সরবত, ঠান্ডা জল, ছোলা ও বাতাসা খাওয়ানো হয়।


এই উপলক্ষে হওয়া এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক পিন্টু কর্মকার সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য ও কর্মীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
তিনি নিজেও সরবৎ , ছোলা, বাতাসা বিতরণ করেন সাধারণ মানুষদের মধ্যে ।
পাশপাশি উপস্থিত ছিলেন আসানসোল উত্তর তৃণমূল কংগ্রেসের ১ নং ব্লক সভাপতি তথা কাউন্সিলর গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, শম্পা দাঁ, রীনা মুখার্জী, শ্রাবণী মন্ডল, মৌমিতা বসু । এছাড়া ছিলেন জেলা মহিলা তৃণমূল নেত্রী আলপনা ব্যানার্জী,ভানু বোস, প্রবোধ রায় ( ক্যাপ্টেন ), ভুবনেশ্বর মুখার্জি, দীপক তলাপাত্র, বিশ্বরূপ দত্তরায় ( কিং), সায়ন দাস ( পাপন), জয় চক্রবর্তী, শিবম কোনার প্রমুখ।

অভিজিৎ ঘটক বলেন, গ্রীষ্মের দাবদাহে পথচলতি তৃষ্ণার্ত মানুষের কষ্ট নিবারণ করার জন্য দেবাশীষ ঘটক ফাউন্ডেশন এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। স্বর্গীয় দেবাশীষ ঘটকের দেখানো পথেই আমরা অনুসরণ করে চলেছি। বিগত ১৫ বছরের বেশি সময় হয়ে গিয়েছে দেবাশীষ ঘটক আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু এখনো এমন অনেক বাড়ি রয়েছে যেখানে দেবাশীষ ঘটককে ভগবানের আসনে রাখা হয়। কারণ তিনি বরাবরই মূলত সমাজসেবার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। এই গরমে মানুষের পাশে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা দাঁড়িয়েছেন। প্রতিবছরই আমরা এরকম অনুষ্ঠান করে থাকি। কিন্তু বিগত দুবছর করোনা পরিস্থিতিতে সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। আর এই গরমে শরবত, ছোলা, বাতাসা দিয়ে মানুষের পাশে থাকাটা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওনা।”

দেবাশীষ ঘটক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পিন্টু কর্মকার বলেন, প্রতি বছর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারও পথচলতি মানুষকে কষ্ট লাঘব করার লক্ষ্যে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মানুষকে সরবৎ, ঠান্ডা জল, ছোলা ও বাতাসা দেওয়া হয়।
এদিন প্রায় হাজার দুয়েক পথচারীদের এবং জিটি রোড মিনিবাস, বড় বাস, অটো , টোটো ও দুচাকার যাত্রীদের জল, সরবৎ, বাতাসা বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply