ASANSOL

পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আসানসোলে মনোঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন,ইতিহাস – তথ্য সমৃদ্ধ প্রচার পত্রিকা প্রকাশ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা নেই যে ভারতে অবস্থিত প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যেরই একটি করে রাজ্য দিবস আছে। ১ মে পালিত হয় মহারাষ্ট্রে “মহারাষ্ট্র দিবস” হিসেবে, ১ লা নভেম্বর কর্ণাটক দিবস ও ৩০ শে মার্চ রাজস্থান দিবস পালিত হয়। সেরকমই ২০ জুন,পশ্চিমবঙ্গ দিবস অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন হিসেবে তথ্য দিয়ে দাবি করছেন বেশ কিছু মানুষ। যদিও প্রধানত রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই দিনটি গুরুত্ব সহকারে পালন করতে দেখা যাচ্ছে।

এই পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিন  উপলক্ষ্যে আসানসোলের মূর্গাশোল এলাকায় এক মনোঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন ওই অনুষ্ঠানে ভারত মাতা এবং ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর, ২০ জুন, ১৯৪৭ সালে কিভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ভোট দানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ কে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তার ইতিহাস – তথ্য সমৃদ্ধ প্রচার পত্রিকাও ওই অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়।

আসানসোলে অনুষ্ঠানের শেষ  লগ্নে কিভাবে পশ্চিমবঙ্গ গঠিত হয়েছিল এবং ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কি ভাবে পাকিস্তানের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ছিনিয়ে এনেছিলেন তা বক্তব্যর মাধ্যমে তুলে ধরেন অধ্যাপক ও আইনজীবী ডঃ নবনীতা ব্যানাজী, সঞ্জয় পাল, সম্রাট চক্রবর্তী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। ১৯৪৭-এ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আইন অনুসারে বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগের ব্যবস্থা হল। যেহেতু বঙ্গীয় আইনসভা ভারত বা পাকিস্তানে যুক্ত হবার ব্যাপারে একমত ছিল না ফলে ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইনসভা ভেঙে তৈরি হল পূর্ববঙ্গ আইনসভা ও পশ্চিমবঙ্গ আইনসভা। মুসলমান প্রধান অঞ্চল নিয়ে হল পূর্ববঙ্গ ও হিন্দু প্রধান অঞ্চল নিয়ে হল পশ্চিমবঙ্গ।

ঐ দিনেই পশ্চিমবঙ্গ আইনসভার সদস্যরা ৫৮-২১ ভোটে বাংলাভাগের পক্ষে ও পাকিস্তানে যোগদানের বিপক্ষে ভোট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গঠন সুনিশ্চিত করেন। ১৯৪৭ সালের ২০শে জুন তৈরী হল পশ্চিমবঙ্গ ও তার আইনসভা। ভারত স্বাধীন হল ১৫ ই আগস্ট, ১৯৪৭। যদিও ইতিহাসে এই প্রশ্নটি রয়ে যায় – অন্য কোন পন্থার কি সম্ভাবনা ছিল এই যন্ত্রণাময় পদ্ধতির পরিবর্তে? এই জিজ্ঞাসা এখনো দেখা দেয় গবেষক, চিন্তাবিদদের মনের গহনে। যদিও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি দাবি করে বাঙালী হিন্দু জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে পৃথক হওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ ছিলোনা।

Leave a Reply