ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

রানিগঞ্জে দামোদর নদী থেকে বালি তোলা, জেলাশাসককে চিঠি বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়ের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১১ জুলাইঃ ( Asansol Raniganj News Today ) পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রাণিগঞ্জে দামোদর নদীর তিরাট সংলগ্ন এলাকা থেকে ব্যাপকভাবে বালি তোলায় সংকটে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে গণস্বাক্ষর করে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ ও রানিগঞ্জের বিধায়ক তথা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তাপস বন্দোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসককে দামোদর নদী থেকে এইভাবে বালি বড় বড় ট্রাকে পাচার ও এলাকার রাস্তাকে নষ্ট করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি লিখেছেন।

Tapas Banejee File photo


তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশেষ করে হারাভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শতাধিক মানুষ লিখিতভাবে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তিরাট এলাকায় দামোদর থেকে অবাধে বালি তোলার কারণে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর বা পিএইচইর জলের লাইনে সেভাবে জল উঠছে না। আর যে জল উঠছে তাও পান করার যোগ্য নয়। কারণ বিপুল পরিমাণ বালি মেশিন দিয়ে তুলে ফেলা হচ্ছে। অন্যদিকে হাড়াভাঙ্গা নুনিয়া সেতুটি ১০ টনের বেশি গাড়ি গেলেই তা পুরনো হওয়ার কারণে ভেঙে পড়তে পারে যে কোন সময় । কিন্তু এইসব বড় বড় বালির ট্রাকগুলি ১৫/১৬ টনের ওজনের হওয়ায় যে কোনদিন এই সেতু ভেঙে গেলে বড় বিপদে পড়বে গ্রামের পর গ্রাম। সর্বোপরি তিরাট থেকে যাওয়া রাস্তা শুধু খারাপ হচ্ছে তাই নয় যে কোনদিন বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। গ্রামবাসীদের এই অভিযোগের গনস্বাক্ষরকারীদের মধ্যে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মলয় মন্ডলও আছেন।


এদিন এই প্রসঙ্গে বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যেভাবে বালি তোলা হচ্ছে সেটা একটা বিশাল পরিমাণের। তার সঙ্গে যেমন পানীয় জল সঠিকভাবে পাওয়া যাবে না তেমনিই পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের তৈরি করা রাস্তা গুলি বেহাল হয়ে পড়বে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি আমি জেলাশাসককে লিখিত আকারে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ পত্র সহ জানিয়েছি।
যে সংস্থা এই নদী থেকে পলি সরানোর নামে বালি তুলছেন এই অভিযোগ নিয়ে তার এক কর্মীকে জিজ্ঞাসা করা হয়। ফোনে তিনি বলেন, কিছু বলা যাবে না।


অন্যদিকে দামোদর নদীর কালাঝরিয়ার কাছে পলি তোলার কাজের বরাত পেয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের কেউ কেউ আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা তোলা চাইছে। এইবিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ করেছে হিরাপুর থানায়।
এদিকে, গ্রামবাসীদের পাল্টা অভিযোগ, ডেজিংয়ের নাম করে নদী থেকে রাতের অন্ধকারে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ গ্রামের মানুষজন করেছে। কারণ এখন নদী থেকে বালি তোলা নিষেধ। সেই থেকেই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে ঐ বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। যা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে এই ঘটনার পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply