ASANSOL

আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হলো ইসিএলের প্রাক্তন ও বর্তমান জিএম সহ ধৃত ৭ জনকে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Asansol Live News Today ) আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ নিয়ে আসা হল বেআইনি কয়লা পাচায় মামলায় ধৃত ইসিএলের প্রাক্তন ও বর্তমান জিএম সহ ৭ আধিকারিক ও কর্মীকে। বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই কয়লা পাচার মামলায় প্রত্যক্ষভাবে মদত রয়েছে এমন অভিযোগে বর্তমান ও প্রাক্তন আধিকারিক ও কর্মীকে গ্রেফতার করে । কলকাতা নিজাম প্যালেস থেকে তাদেরকে সড়কপথে চারটি গাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় বিশেষ সিবিআই আদালতে আনা হয়।

কয়লা পাচার মামলায় তদন্তে সিবিআই অফিসাররা ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেডের প্রাক্তন ও বর্তমান জিএম সহ ৭ জনকে বুধবার সকাল থেকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআয়ের আর্থিক তছরুপ দমন শাখার অফিসে জেরা শুরু করেন। সাত ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এই মামলায় বিনয় মিশ্রর ভাই বিকাশ মিশ্র সহ চার কয়লা মাফিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই মামলাতেই টাকা পাচারের অভিযোগে আলাদা করে তদন্ত করছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। ইতিমধ্যেই দুই কয়লা মাফিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে কয়লা কারবারিরা গ্রেফতার হলেও ইসিএলের কোনও কর্তা গ্রেফতার হয়নি। ওই ৭ ইসিএল আধিকারিককে দুই তদন্তকারী সংস্থার অফিসে ও বাড়িতে তল্লাশি করলেও ও জেরা করলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি।

ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার এসসি মৈত্র। পাশাপাশি ইসিএলের তিন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, অভিজিৎ মল্লিক, এবং তন্ময় দাস। এছাড়াও রয়েছেন নিরাপত্তা আধিকারিক মুকেশ কুমার, রিঙ্কু বেহারা ও দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় । ইসিএলের এই কর্তা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কয়লা পাচারকারীদের কাছ থেকে মোটা অর্থের বিনিময়ে তারা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। এদের প্রত্যক্ষ মদতেই আসানসোল দুর্গাপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় খনি থেকে কয়লা তুলে পাচার করা হয়েছে।

কয়লা পাচার কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত বিকাশ মিশ্র জেলেই রয়েছ। তবে গ্রেফতার হলেও কয়লা কারবারি জয়দেব মন্ডল, গুরুপদ মাজি, নিরোদ মন্ডল, নারায়ণ নন্দারা জামিনে মুক্ত রয়েছে। বেআইনি কয়লা সাম্রাজ্যের মূল কারবারি অনুপ মাজি ওরফে লালাকে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। তিনি উচ্চ আদালতেরর বিশেষ রক্ষাকবজে রয়েছেন।
বিশেষ সিবিআই আদালতে তাদেরকে তুলে হেফাজতে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে আবেদন করা হয়েছে বিচারকের কাছে বলে জানা গেছে ।

Leave a Reply