ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

আসানসোলে ২৪ মিনিটের মধ্যেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। ৬৭ বছরের বৃদ্ধা মালতি পাত্র। বাড়ি বারাবনি থানার মাজিয়াড়া গ্রাম। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ ভয়ংকর অসুস্থ হয়ে পড়েন মালতি দেবী। সেইসময় তার একটি ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা করার প্রয়োজন ।কিন্তু তেমন প্রয়োজনীয় অর্থ তার হাতে নেই। নেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও । তার ছেলে বাম সংগঠনের নেতা তীর্থঙ্কর পাত্র। সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য বিডিও অফিসে ফোন করেন মায়ের অসুস্থতার খবর জানিয়ে। আর সেই ফোন ধরেন ব্লকের এই কাজের দায়িত্বে থাকা অন্যতম কর্মী বিক্রম গোস্বামী ।

তিনি বলেন কোনভাবে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে চলে আসুন। বিডিও অফিসে সেইমতো তীর্থঙ্কর একটি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া করে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মাকে নিয়ে পৌঁছে যান বারাবনির বিডিও দপ্তরে ।তখন সেখানে যারা বাড়িতে একমাত্র মহিলা বা পুরুষ আছেন তাদের একজন করে করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করা হচ্ছিল। দেরি না করেই বিক্রম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে নিয়ে যান এবং স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা ওই মহিলার মাত্র দশ মিনিটের মধ্যেই তৈরি করে তাদের হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটি দিয়ে দেন। এরপর বিক্রম বিষয়টি বিডিও সৌমিত্র প্রতিম প্রধানকে জানালে তিনি এম্বুলেন্সের কাছে ছুটে আসেন। তারপর সেই মহিলাকে দেখেন ও তার ছেলের সাথে কথা বলে জানতে পারেন আসানসলে এক বেসরকারি হাসপাতালে তারা নিয়ে যেতে চান। সেই হাসপাতালের আধিকারিকদের বিডিও ফোন করেন এবং তিনি বলেন একজন গভীর অসুস্থ মহিলাকে চিকিৎসার জন্য পাঠাচ্ছেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে তার যেন চিকিৎসা হয়ে যায়। তার ছেলে তীর্থঙ্করকে বলেন কোন অসুবিধা হলে সরাসরি বিডিওকে জানাতে।


এরপর ওই বৃদ্ধা হাসপাতালে পৌঁছলে সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু হয় ।চিকিৎসকরা বলেন তার সোডিয়াম ,পটাশিয়াম কমে গিয়েছিল ভয়ঙ্কর ভাবে ।সেই জন্য তিনি এতটা অসুস্থ হয়েছেন। কয়েক ঘন্টা সেখানে রাখার পর তিনি অনেকটা সুস্থ হওয়ার কারণে রাতেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । বলা হয় দুদিন ওষুধ পত্র খাওয়ার পর আবার এখানে চিকিৎসককে দেখিয়ে যেত। বুধবার তীর্থঙ্কর বলেন সত্যিই বিডি অফিস থেকে দ্রুততার সাথে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দেওয়ায় মায়ের চিকিৎসা বেসরকারি হাসপাতালে করা সম্ভব হয়েছে। এটা অত্যন্ত একটা ভাল কাজ। অন্যদিকে বিডিও বলেন আমরা আমাদের ব্লকে প্রায় ৬০০ জন যেসব মহিলা বা পুরুষরা বাড়িতে একা থাকেন তাদের এই সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দিচ্ছি। যাতে তাদের অন্তত চিকিৎসার অসুবিধা না হয়। আর ওই দপ্তরের কর্মী বিক্রম গোস্বামী বলেন এমন একটা কাজ করতে পেরে আনন্দ লাগছে। বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে একজন অসুস্থ রুগীকে শুয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হওয়ায়র খবরে আনন্দিত।

Leave a Reply