আসানসোল আদালতে সাজা ঘোষণা, মহিলাকে খুনে দোষী সাব্যস্ত, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ প্রতিবেশী এক মহিলাকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো। বৃহস্পতিবার এই সাজা ঘোষণা করেন আসানসোল জেলা আদালতের জেলা ও সেশন জজ সুনির্মল দত্ত। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম হপনা মাজি। তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের টহরম ৪ নং এলাকায়। এদিন বিচারক সাজা ঘোষণায় নির্দেশ দিয়েছেন হপনা মাজিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। সেই জরিমানা অনাদায়ে সাজার মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়বে বলে বিচারক নির্দেশ দেন ।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী বা পিপি বিনয়ানন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর কুলটি থানার নিয়ামতপুরের টহরম ৪ নং এলাকার বাসিন্দা হপনা মাজি প্রতিবেশী মহিলা লীলা দেবীকে মোটরসাইকেল করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। সেই রাতে তারা কেউ বাড়ি ফিরে আসেনি। পরের দিন ৯ অক্টোবর সকালে নিয়ামতপুরে একটি পেট্রোল পাম্প লাগোয়া এলাকা থেকে মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের পরে জানা গেছিলো, ঐ মহিলাকে খুন করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী আরো বলেন, সেদিনই মহিলার ছেলে টিঙ্কু ভুঁইয়া কুলটি থানায় অভিযোগ করেন। সেই ভিত্তিতে পুলিশ একটি খুনের মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে। পরে গ্রেফতার করা হয় হপনা মাজিকে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছিলো যে, হপনা মাজির সঙ্গে ঐ মহিলার বহুদিন ধরে অবৈধ একটা সম্পর্ক ছিলো। গ্রেফতার হওয়ার পরে দেড় বছর আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার বা জেলে ছিলো হপনা। পরবর্তী কালে সে জামিন পায়।
মামলা আদালতে চলাকালীন এই মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষী দেন। তবে ছেলে টিঙ্কু ভুঁইয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও, পরবর্তী কালে শুনানির সময় সহযোগিতা করছিলো না। মৃত মহিলার মেয়ে বেবী ভুঁইয়া মামলা চলতে খুবই সাহায্য করে। শেষ পর্যন্ত সব সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে বুধবার জেলা ও সেশন জজ সুনির্মল দত্ত বুধবার হপনা মাজিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিচারক সাজা ঘোষণা করে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।