গরু পাচার মামলা : অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামে আসানসোল আদালতে চার্জশিট জমা সিবিআইয়ের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ গরু পাচার মামলায় সোমবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করলো সিবিআই। এই নিয়ে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তিনবার চার্জশিট জমা পড়লো। এবারের চার্জশিটে নাম রয়েছে বিকাশ মিশ্র, সায়গল হোসেন ও আব্দুল লতিফের। বিকাশ মিশ্র ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছে। সোমবারই সায়গল হোসেনের জেল হেফাজতে থাকা ৬০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আব্দুল লতিফ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারের। ৩২ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। এরপর দ্বিতীয় চার্জশিটে নাম ছিল গরু পাচারকারীর মূল কিং পিন এনামুল হকের। ১৩ মাস জেল হেফাজতের পর সেও এখন জামিনে মুক্ত। এবার নাম এলো এই তিনজনের। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/08/IMG-20220805-WA0012.jpg?resize=500%2C275&ssl=1)
সিবিআই চার্জশিটে ৪.১ কোটি টাকার সম্পত্তি আছে বলে জানিয়েছে । মোট ৫৯ টি সম্পত্তির ডিড চার্জশিটের সঙ্গে জমা করা হয়েছে আদালতে। সিবিআইয়ের দাবি সমস্ত ডিড সায়গল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনের নামে রয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, ১৮ নভেম্বর ২০২০ প্রথম গ্রেফতার হয় বিএসএফ কমেন্ডেন্ট সতীশ কুমার।২ ডিসেম্বর ২০২০ তে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয় সতীশ।১১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে আত্মসমর্পণ করে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে এনামুল হক।
২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ১৩ মাস জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত এনামুল হক।
২০২১ সালের মার্চ মাসে ইডি প্রথম দিল্লি থেকে বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করে।
২০২২ সালের ১০ জুন সাইগল হোসেন গ্রেফতারের পর আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়।
আগামী ১৮ আগষ্ট এই গরু পাচার মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।