ASANSOL

কয়লা পাচার মামলা : ১৫ জনের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি, হাজিরার নির্দেশ আরো ১০ জনকে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ( Asansol CBI Special Court ) থেকে কয়লা পাচার মামলায় ( Coal Smuggling Case ) প্রথম চার্জশিটে নাম থাকা ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। একইসঙ্গে এই মামলায় আসানসোল দূর্গাপুর খনি শিল্পাঞ্চলের দশটি কারখানার ডিরেক্টর বা মালিকদের বিরুদ্ধে সমন নোটিশ জারি করা হয়েছে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে । তাতে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এই ১০টি কারখানার মালিক বা ডিরেক্টরদের আদালতে হাজির হতে হবে ।

गौ तस्करी CBI चार्जशीट

এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফে আদালতে তাদের আইনজীবী রাকেশ কুমার চাটশিটে নাম থাকা এদের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন জানান মঙ্গলবার।এদিনই ইসিএলের ৮ আধিকারিকের জামিনের শুনানির সময় তাদের আইনজীবী আশিষ মুখোপাধ্যায় ও আশিস কুমাররা দাবি করেছিলেন চার্জশিটে থাকা এই আটজন ৬২ দিন জেলে রয়েছেন। অথচ বাকি ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটে নাম থাকলেও সিবিআই নীরব আছে? যদিও এই বিষয়ে তখন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চেয়েছিলেন সিবিআইের আইনজীবীর কাছে এর উত্তরে তারা কি বলবেন? সেই সময় অবশ্য সিবিআইয়ের আইনজীবী কিছু না বললেও, এরপরেই ঐ ২৫ জনের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতেই আদালত নির্দেশ দিল ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।


সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ১০ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছে।
প্রসঙ্গতঃ, সিবিআই কয়লা পাচার মামলায় গত ১৯ জুলাই আদালতে প্রথম যে চার্জশিট দেয় তাতে ৪১ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে ১৩ জনকে সিবিআই গ্রেফতার করে। যার মধ্যে চারজনের জামিন হয়েছে। ৯ জন বর্তমানে আসানসোল জেলে আছেন। বাকি ২৮ জনের মধ্যে ১০ জন হচ্ছেন এই খনি শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানা বা কোম্পানির ডিরেক্টর বা আধিকারিক। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এদেরকেই সমন পাঠিয়ে হাজিরার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচে আছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত রত্নেশ বর্মা ও বিনয় মিশ্র দুজনই ফেরার বা পলাতক। এদের বিরুদ্ধেও লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই ।


আদালত থেকে মঙ্গলবার যে ১৫ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা অনেকেই লালার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও সহযোগী। যারা তার হয়ে সরাসরি কয়লা খনি থেকে কয়লা তুলতো অবৈধভাবে ও তার এই ব্যবসাও চালাতো বলে সিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল, জামুরিয়া, কুলটি, আসানসোল, রানিগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায়। মঙ্গলবারই আদালতে শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত কয়লা চুরি ও পাচারের তদন্ত করছেন। এছাড়াও এদিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতে আরো বলা হয়েছে, এই মামলার তদন্তে সিবিআই ইসিএলের আরো কয়েকজন আধিকারিক, সিআইএসএফ জওয়ান ও আধিকারিক, পুলিশ ও প্রভাবশালীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদেরকে দ্রুত ডেকে পাঠানো হবে।

Leave a Reply