ASANSOL

আসানসোল তৃনমুল কংগ্রেসের ব্লক সহ সভাপতির পদ ছাড়লেন কাউন্সিলর, শোরগোল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল পুরনিগমের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ব্লকের সহ সভাপতির পদ ছাড়লেন। শুক্রবারই তপনবাবু দলের দেওয়া এই পদ ছাড়ার কথা নিজেই জানিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে শাসক দলের অন্দরে শোরগোল পড়েছে।

তাকে নাম না জানিয়ে আসানসোল উত্তর ব্লক নম্বর ১ তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিলো। দিন দশেক আগেই রাজ্য নেতৃত্বর তরফে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকের সভাপতি, সহ সভাপতি সহ সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিলো। এদিন তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে না জানিয়েই বা মত না নিয়ে আসানসোল উত্তর ব্লক নম্বর ১ তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিলো।

আমি পেশায় একজন আয়কর বিভাগের আইনজীবী। এই পেশার কারণে দলের এমন একটা পদের জন্য দেওয়ার মতো সময় আমার নেই। পদে থাকবো, অথচ সময় দিয়ে কাজ করতে পারবো না, সেটা ঠিক নয়। তাই আমি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়ে বলেছি, আমি ঐ পদে থাকতো পারবো না। ঐ পদে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়াটাই ঠিক হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হিসাবে ছিলাম। সঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর। আমি একজন দলের সাধারণ কর্মী ছিলাম, আছি ও থাকব। এরমধ্যে অন্য কিছু আর নেই।

এই প্রসঙ্গে আসানসোল উত্তর ব্লক ১ নংর সভাপতি আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি ওনাকে পদে মনোনীত করিনি। দলের উচ্চ নেতৃত্ব তাকে মনোনীত করেছিলেন। তাই এই ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। তিনি আরো বলেন, তপন বন্দোপাধ্যায় মানুষ হিসাবে খুব সজ্জন ও ভালো। ওনার মতো মানুষ পদে থাকলে, অবশ্যই দলের পক্ষে ভালো।

উল্লেখ্য, তপন বন্দোপাধ্যায় যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেই ৫৩ নং ওয়ার্ডের আপকার গার্ডেনেই বাড়ি আছে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটকের। মলয়বাবু আসানসোল উত্তর বিধান সভা কেন্দ্রের বিধায়কও। তপন বন্দোপাধ্যায় মন্ত্রী মলয় ঘটকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এবারের পুর ভোটে তপন বন্দোপাধ্যায় প্রথমবার লড়াই করেন ও শাসক দলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। স্বাভাবিকভাবেই তার দলের ব্লক কমিটির সহ সভাপতির পদ ছাড়ায় আলোচনাও শুরু হয়েছে।

Leave a Reply