ASANSOL

আসানসোল আদালতে আচমকাই ইডির দুই আইনজীবী

গরু পাচার মামলা, কাল আবার অনুব্রত মন্ডলের হাজিরা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে মঙ্গলবার সকালে ইডির দুই আইনজীবী আচমকাই আসেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। কেননা, গরু পাচার মামলা আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চলছে। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছে বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ও তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গত ২৪ আগষ্ট থেকে অনুব্রত আসানসোল জেলে রয়েছেন। দুদফায় ১৪ দিন করে মোট ২৮ দিন জেল হেফাজত শেষে আজ বুধবার তাকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে, ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আসানসোল জেলে রয়েছে সায়গল। তাকে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর আবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলার কথা।


এদিন ইডির দুই আইনজীবী ( যার মধ্যে একজন মহিলা ছিলেন) আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এসে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলতে তার চেম্বারে যান। ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারও। প্রায় ২ ঘন্টা তারা ছিলেন। তবে ঠিক কি বিষয়ে তারা কথা বলেছেন তা নিয়ে আদালত থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের কাছে ঐ আইনজীবীরা কোন মন্তব্য করতে চাননি। আদালত সূত্র থেকে জানা গেছে, ইডির দুই আইনজীবী অবশ্য লিখিতভাবে এদিন আদালতে কোন আবেদন বা কাগজ জমাও দেননি।


যদিও, অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, গরু পাচার মামলায় আসানসোল জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জেরা করা ও হেফাজতে নেওয়া নিয়ে একটি আবেদন দাখিল করতেই ইডির দুই আইনজীবী আসানসোলে এসেছিলেন। কিন্তু সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক আপাতত তাদের আবেদন গ্রহণ করেনি।


গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গলকে হেফাজতে নেওয়া ও জেরার জন্য ইডির দুটি আবেদন দিল্লির ইডির আদালতে আগেই খারিজ হয়েছে। সেই সময় ইডি আদালত থেকে ইডিকে বলা হয়েছিল এই আদালতের পক্ষ থেকে তাদের আবেদন গ্রাহ্য করা হবেনা। যেহেতু এই মামলা পশ্চিমবঙ্গে চলছে। তাই পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ আদালতে বা অন্য কোন আদালতে আবেদন করতে হবে। সায়গলের মামলা বর্তমানে আসানসোলের সিবিআই আদালতে আছে। নিয়ম অনুযায়ী দিল্লির ইডি কোর্টে ইডির আবেদন খারিজ হওয়াতে ঐ রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে তাদের হাইকোর্টে যেতে হবে।

স্বাভাবিকভাবেই, তাই এদিনও ইডির আইনজীবীদের নাকি বলা হয়েছে, প্রথমে দিল্লিতে উচ্চ আদালতে তাদের আবেদন করতে হবে। তার পরে উচ্চ আদালত যদি ইতিবাচক নির্দেশ দেয় তাহলে এই রাজ্যের ইডি আদালতে আবার যেতে হবে। সেই আদালত অনুমতি দিলে তারপর সায়গলকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরা মনে করেন।
সায়গলের কাছ থেকে প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া গেছে বলে সিবিআই দাবি করেছে। তাই ইডি এই সম্পত্তির অর্থ কোথা থেকে, কিভাবে এসেছে ও গরু পাচারের সঙ্গে সে যুক্ত কিনা সেটাও তারা বোঝার চেষ্টা করছেন। এজন্য ইতিমধ্যেই মঙ্গলবারই সায়গলের স্ত্রী ও মাকেও ইডি দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে।

Leave a Reply