PANDESWAR-ANDAL

কয়লা উৎপাদনে কোল ইন্ডিয়াতে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা অর্জন করেছে সোনপুর বাজারী প্রকল্প

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ: পাণ্ডবেশ্বরের সোনপুর বাজারী প্রকল্প, বর্তমানে কয়লা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমগ্র কোল ইন্ডিয়াতে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা অর্জন করেছে এই দাবি করে, প্রকল্পের রূপরেখা পরিদর্শন ও খনির বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানান সোনপুর বাজারী এরিয়া কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রকল্পের ভিউ পয়েন্ট ও খনির অভ্যন্তরের বিভিন্ন অংশ প্রদর্শন করান ।
যেখানে খনির সম্প্রসারণ, উৎপাদন, নিরাপত্তা,ও পরিবহনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তথ্য দেন। এই পরি দর্শনে উপস্থিত হন প্রকল্পের মহাপ্রবন্ধক (জি এম )আনন্দ মোহন, এরিয়া পার্সোনাল ম্যানেজার আবির মুখার্জি, আধিকারিক অভিষেক দুদওয়াল, ব্যবস্থাপক (পার্সোনেল) প্রিয়াঙ্কা সিং প্রমুখ।

প্রথমে আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মকর্তারা মাতৃভাষার উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, পরে প্রকল্পে পৌঁছে খনির রূপরেখা ভিউ পয়েন্ট থেকে প্রদর্শন করেন। এরপর খনি অঞ্চল পরিদর্শন করে কয়লা উৎপাদন ও লোডিং ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য দেন। এছাড়াও ইসিএলের মাস্টার প্রজেক্ট সাইলো পিএইচপি-তে গিয়ে প্রকল্প থেকে উৎপাদিত কয়লা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্যে সরাসরি রেলওয়ের ওয়াগনে লোড করার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত সকলের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয


প্রকল্পের মহাপ্রবন্ধক (জি এম )আনন্দ মোহন জানান, সমগ্র ই সি এল এর মধ্যে সোনপুর বাজারি প্রজেক্টে সাইলো পি এইচ পি পদ্ধতিতে ওয়াগানে কয়লা লোড করার পদ্ধতি প্রথম । যেখানে একসময় জেসিবি মেশিন দিয়ে ওয়াগানে একটা ৱ্যাক কয়লা লোড করতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগতো । সেখানে এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে একটা ৱ্যাকের ওয়াগেন লোড করতে সময় লাগে মাত্র এক ঘন্টা। বিষয়টি পরিষ্কার করতে তিনি বলেন একটা ৱ্যাকে মোটামুটি ৯০ থেকে ৯২ টি বগি থাকে। অত্যাধুনিক এই পদ্ধতিতে এক ঘন্টাতেই হয়ে যায় এই সমস্ত কাজ । ভারতবর্ষের মধ্যে ইসিএল এর রাজমহল সবথেকে বেশি উৎপাদিত কয়লার ক্ষেত্রে বিখ্যাত । সূত্র মারফত জানা যায়, এই শোনপুর বাজারির প্রজেক্ট সমগ্র সি এল এ বর্তমানে একটি লাভজনক প্রজেক্ট ।


একমাত্র এখানেই হয় সারফেস মাইনার মেশিন থেকে দূষণমুক্ত উৎপাদন। জিএম জানান, প্রকল্পে শূন্য দূষণ ও সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে কয়লা উৎপাদন করা হয়। ৩৫ হাজার টন কয়লা উৎপাদনের জন্য দুই লাখ ঘনমিটার ওবি অপসারণ করা হয়। গাছ সরিয়ে প্রকল্প সম্প্রসারণ সম্পর্কে জিএম জানান, প্রকল্প সম্প্রসারণে বন বিভাগের নির্দেশে এ পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি গাছ লাগানো হয়েছে, এখনো গাছ লাগানোর কাজ চলছে।তিনি আরও জানান, এই প্রজেক্টের এখনো প্রায় ১৩ টি গ্রাম অধিগ্রহণ করা হবে। এই প্রকল্পটি আরো ৩৩ বছর চলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Leave a Reply