“টুপি শুক্লা” বই প্রকাশিত
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য, : ভারতের অন্যতম জাতীয়তাবাদী রচনাকার ও ঔপন্যাসিক ছিলেন ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারপ্রাপ্ত ডক্টর রাহী মাসুম রেজা।তাঁর অসামান্য পরিচিতি আপামর ভারতবাসীর কাছে দূরদর্শনে প্রচারিত মহাভারত সিরিয়ালের মধ্যে দিয়ে।বি. আর.চোপরা সাহেব বিশেষভাবে তাঁকে মহাভারতের স্ক্রিপ্ট লিখতে অনুরোধ জানালে গোঁড়া প্রাচীনপন্থী সমাজ তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েও নিরস্ত করতে পারে নি।সৃষ্টি হয় অমরকাহিনী মহাভারতের এক চলমান দৃশ্যরূপ।গতকাল এই প্রবাদপুরুষের আরো একটি অনন্য উপন্যাসের বাংলা ভাষায় অনুবাদ প্রকাশিত হয় কোলকাতার যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে।”টুপি শুক্লা” বইটির বাংলা অনুবাদটি করেছেন মহ:মনিরুল ইসলাম।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/10/IMG-20221015-WA0003.jpg?resize=500%2C243&ssl=1)
উপস্থিত ছিলেন হায়দ্রাবাদ ফিল্ম সোসাইটির কাস্টিং ডিরেক্টর ও থিয়েটার আর্টিস্ট শ্রী বিনয় বর্মা,ভারতীয় রেলের অন্যতম কর্ণধার;ন্যাশনাল আওয়ার্ড উইনার শ্রী যতীশ কুমার,প্রখ্যাত শিল্পী শিরিন সোরাইয়াসহ শিক্ষাও সংস্কৃতি বিভাগের প্রমুখ ব্যক্তিত্বগণ।আমাদের বর্তমান সমাজে জাত,ধর্ম ও বর্ণবিদ্বেষ যেভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো তাদের শ্রেণীস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একে ব্যবহার করছে, এই উপন্যাস তাদের কাছে যেমন সমাজের বিভিন্ন নেতিবাচক দিকগুলোর প্রতি স্পষ্ট অঙ্গুলি নির্দেশ করেছে তেমনই টুপি ও ইফনের দুটি ভিন্নধর্মীয়,ভিন্ন পরিবেশের মানুষের অটুট বন্ধুত্ব তুলে ধরে শিখিয়েছে কিভাবে টিঁকিয়ে রাখতে হয় মানবিকতা ও ভালোবাসাকে।
এক মানুষ যদি দু রকম টুপি পরে সামনে আসেন তাঁদের পরিচয় বদলে যায়।মানুষ তখন টুপির কার্যকারীতা বা ব্যবহার চিন্তা করতে ভুলে গিয়ে টুপি যিনি পরে আছেন তার জাত খুঁজে বেড়ায়।আমাদের দেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে এইরকম ঘৃণ্য মানসিকতা থেকেই।দারিদ্র, অসহায়তা,ধর্মীয় ভাবাবেগ উপজীব্যকারী দুষ্টচক্র কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে।এর থেকে বেরিয়ে আসতে পথনির্দেশ করছে এই উপন্যাস।তাই বাংলার মাটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এই অনুবাদ অতি প্রাসঙ্গিক।