ASANSOLHealth

ডেঙ্গু মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশ সুডার স্বাস্থ্য সচিবের, বৈঠকে গরহাজির ১০ চিকিৎসক, শোকজ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত পুর কতৃপক্ষের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিভাবে এই ডেঙ্গু মোকাবিলা করা যায়, তারজন্য সোমবার আসানসোল পুরনিগমের মিটিং হলে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিলো। অথচ সেই বৈঠকে এলেন না বা গরহাজির থাকলেন আসানসোল পুরনিগমের ১০ জন চিকিৎসক। ২৬ জন চিকিৎসকের মধ্যে বাকি ১৬ জন বৈঠকে ছিলেন।


এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকা রাজ্যের ” স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি বা সুডা” র স্বাস্থ্য সচিবের দায়িত্বে থাকা জলি চৌধুরী এই ১০ জন চিকিৎসককে শোকজ করতে নির্দেশ। ডাকা সত্বেও তারা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এলেন না, তার কারণ ঐ ১০ জন চিকিৎসক তার কারণ দর্শাতে হবে। এদিনের বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগৎ, স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গাঙ্গুলি, পতঙ্গ বিশারদ স্বাতী দাস সহ বিভিন্ন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা।


বৈঠকে জলি চৌধুরী ডেঙ্গু মোকাবিলায় আসানসোল পুরনিগমের প্রতিটি ওয়ার্ডে নজরদারি আলোচনা নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সবার সঙ্গে সবার সমন্বয় রেখে কাজ করা ও ডে টু ডে বা প্রতিদিন কি পরিস্থিতি আছে, তা নিয়ে বৈঠক করে, একটি কাজের রুপরেখা তৈরীর কথা বলেছেন।
জানা গেছে, আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬২ টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রকোপ থাকার একটা আভাষ সমীক্ষায় পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ৬ টি থেকে ১০ টি ওয়ার্ড চিন্তায় রেখেছে। এই ওয়ার্ড গুলি রয়েছে, আসানসোলের রেলপার, মহিশীলা কলোনি, কুলটি, বার্ণপুর ও রানিগঞ্জে। এদিন পর্যন্ত আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তর সংখ্যা ১১২। এছাড়াও ২৫ জন মাইগ্রেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রয়েছেন। যারা বাইরে থেকে এসেছেন।


বৈঠকের পরে পুরনিগমের মেয়র পারিষদ ও স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, সুডার স্বাস্থ্য কর্তা আমাদেরকে বেশকিছু নির্দেশ দিয়েছেন। পুরনিগমের স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতিদিন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যাচ্ছেন। খবর নিচ্ছেন কেউ জ্বরে আক্রান্ত আছেন কিনা। স্যানিটেশন বিভাগের কর্মীরা সাফাই করছেন। মুলতঃ কোথায় জল জমে আছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। স্প্রে করা হচ্ছে। গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে।
মেয়র পারিষদ আরো বলেন, ১৬ টি হাইড্রেনের উপর নজরদারি করা হয়েছে। যে জায়গায় ডেঙ্গু পাওয়া যাচ্ছে, সেই এলাকায় এলআইজা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিত্যক্ত ও ফাঁকা জায়গার একটা তালিকা করা হয়েছে। যেখানে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে নোটিশ লাগানো হচ্ছে। যাতে এলাকার বাসিন্দারা সতর্ক থাকেন। পুরনিগম এলাকায় কতগুলো খাটাল আছে, তার একটা পরিসংখ্যান তৈরি করা হচ্ছে। খাটাল গুলোতেও বিশেষ নজরদারি করা হয়েছে।
পুরনিগমের কমিশনার রাহুল মজুমদার আরো বলেন, এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে উদ্বেগ রয়েছে। তবে আমরা সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

Leave a Reply