ASANSOL

ছটপুজো উপলক্ষে আসানসোলে মহিলাদের শাড়ি বিলি বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের

চাকরি চেয়ে ধর্ণা থেকে কয়লা পাচার ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ দূর্গাপুজো, কালিপুজোর পর এবার “ছটপুজো”।সারা দেশের পাশাপাশি আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও ধুমধাম করে পালিত হবে এই উৎসব। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলরদের দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারির উদ্যোগে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি শাড়ি বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রায় ৩০০০ মহিলাদের মধ্যে শাড়ি বিতরণ করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাড়ি বিতরণ করে বিজেপি নেত্রী হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় চাকরি চেয়ে কলকাতায় টেট উত্তীর্ণদের ধর্ণা থেকে কয়লা পাচার, দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত না হওয়া নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমন করেন।


এই অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি ছাড়াও আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্য বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি, জেলা সভাপতি দিলীপ দে, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় , কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী আচার্য, প্রাক্তন কাউন্সিলর ভৃগু ঠাকুর, আশা শর্মা সহ বিজেপির নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে বাংলায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এই রাজ্যের মহিলারা বঞ্চিত। তারা ন্যায়বিচার পান না।

কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার সমস্ত রাজ্যের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এই রাজ্যে মন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় তহবিলের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে নিজেদের নাম দিয়ে বাংলার মানুষকে বোকা বানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। উদাহরণস্বরূপ, তিনি স্বাস্থ্য সাথী নির্মল বাংলার মতো প্রকল্পগুলি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাদের এই কাজ বেশিদিন স্থায়ী হবে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের কাছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

কয়লা, গরু পাচার থেকে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় বড় বড় তৃণমূল নেতাদের জেলে যেতে হবে। কেউ রেহাই পাবেনা বাংলার মানুষেরা চান, সব দূর্নীতি ফাঁস হোক। জড়িতরা জেলে যাক। তার আরো দাবি, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃনমুল কংগ্রেসের বেশির ভাগ নেতা ও মন্ত্রী জেলে চলে যাবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ডাকা বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না যাওয়ায় বিজেপি সাংসদ সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কথায় কথায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীরা ফেডারেল স্ট্রাকচারের কথা বলেন। অথচ দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে ডাকা বৈঠকে তিনি গেলেন না। এর থেকেই বোঝা যায়, কে কি বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তিত।
বিজেপি সাংসদ ছট মাইয়াকে প্রার্থনা করার পাশাপাশি এই সংকল্প নেন, যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুঃশাসন থেকে বাংলা যেন মুক্তি পায়। বিজেপি এখানে সরকার গঠন করতে পারে যাতে সারা দেশের পাশাপাশি বাংলারও সর্বাত্মক উন্নয়ন হয়।

Leave a Reply