ASANSOL

শিল্পাঞ্চল জুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক ছয়টি ঘটনা, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ১ গৃহবধূ সহ ৬ জন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক ছয়টি ঘটনায় এক গৃহবধূ সহ ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ৬ জনকেই গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, এই ৬ জনই আত্মঘাতী হয়েছেন। প্রতিটি ঘটনায় পুলিশের তরফে আলাদা আলাদা করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। শনিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে ৫ জনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। রবিবার ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলা হাসপাতালে গৃহবধূর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হবে।


মৃতদের নাম হলো আসানসোলের কুলটি থানার সীতারামপুরের পুজা দেবী (২০), আসানসোল দক্ষিণ থানার ১ নং মহিশীলা কলোনির জয়দেব মালাকার ( ৩২), সালানপুর থানার সামডির রাধাবল্লভপুরের মৃত্যুঞ্জয় চৌহান (২৪), হিরাপুর থানার বার্ণপুরের ৮ নং বস্তির আমিশা তেওয়ারি (১৬), পান্ডবেশ্বর থানার ডালুরবাঁধের রাজু স্বর্ণকার ( ২৬) ও অন্ডাল থানার মধুসূদনপুরের নন্দলাল ভুঁইয়া (৩২)।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলটি থানার সীতারামপুরের পুজা দেবীর এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিলো। শনিবার সকালে তাকে ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির লোকেরা তাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, অন্ডাল থানার মধুসূদনপুরের নন্দলাল ভুঁইয়া ইসিএলের খাস কাজোড়া কোলিয়ারিতে কাজ করতেন। শুক্রবার ঐ এলাকার খনি কর্মীদের আবাসন থেকে দরজা ভেঙে তাকে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, গত ৩/৪ দিন ধরে তাকে আবাসনের বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। শুক্রবার প্রতিবেশীরা আবাসন থেকে দুর্গন্ধ বার হতে দেখে থানায় খবর দেয়।
এদিকে, জয়দেব মালাকার, মৃত্যুঞ্জয় চৌহান, আমিশা তেওয়ারি ও রাজু স্বর্ণকারকে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ঘরে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

Leave a Reply