BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

বন্ধুর বিয়ে থেকে বাড়ি ফেরার পথে দূর্ঘটনা, মৃত্যু রেল শহর চিত্তরঞ্জনের এক মেধাবী ছাত্রর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ মর্মান্তিক এক পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হলো কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে বিটেক পাস করা রেল শহর চিত্তরঞ্জনের এক মেধাবী ছাত্রর। মৃত ছাত্রর নাম সৌমাল্য চক্রবর্তী( ২৮)। রবিবার বাঁকুড়ায় এক বন্ধুর বিয়ে থেকে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। রবিবার রাতেই তার দেহ চিত্তরঞ্জনে আনা হয়। তারপর সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।


চিত্তরঞ্জন তথা সালানপুর ব্লকের ছাত্রনেতা এবং মৃত সৌমাল্যর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী মিঠুন মন্ডল বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর তার এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সে মোটরসাইকেল করে চিত্তরঞ্জন থেকে বাঁকুড়ায় গেছিল। রবিবার ভোরবেলা সে মোটরসাইকেলেই ফিরছিল। আমাকে ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ফোন করে সৌমাল্য বলে আমি রওনা হচ্ছি। রবিবার ফিরে আসার পরে আমার সঙ্গে ওর দেওঘরে এক বন্ধুর বিয়েতে যাওয়ার কথা ছিল।


জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ গঙ্গাজলঘাঁটির হাঁসপাহাড়ি এলাকায় একটি বড় গাছে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সৌমালয়ার মোটরসাইকেলটি ধাক্কা মারে । তাতে তার মাথার হেলমেট ফেটে যায় ও সে ছিটকে যায়। সেই সময় পেছন থেকে আসা একটি পুলিশের গাড়ি আসে। তার এই অবস্থা দেখে পুলিশের গাড়ি দাঁড়ায় । পুলিশের সামনেই তখন একটি ফোন আসে সৌমাল্যর ফোনে। এক পুলিশ কর্মী সেই ফোন ধরে ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা এক মহিলাকে পুরো ঘটনাটি জানান। সৌমাল্যকে পুলিশ এরপর অমরকানন হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হয়। পরে ফোন করা ঐ মহিলা বন্ধুদের তা জানান। খবর দেওয়া হয় তার বাড়িতেও। সে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য ও অন্যরা বাঁকুড়াতে আসেন। পরে ময়নাতদন্ত করে দেহ রাতে চিত্তরঞ্জনে নিয়ে আসা হয়।


মিঠুন জানায়, সৌমাল্যর বাবা সুভাষ চক্রবর্তী গত ৩০ নভেম্বর চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রূপনারায়নপুরে একটি বহুতল আবাসনে থাকতেন । সেই আবাসনের নিচে সৌমাল্য নিজের একটা দোকানও করছিলো। সেই দোকান সাজানোর দেখভাল সৌমাল্য কয়েক দিন করছিল।
একমাত্র সন্তানের এভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে চক্রবর্তী দম্পতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন। তার মা প্রায়ই অচেতন হয়ে যাচ্ছেন। আর বলছেন সৌমাল্য ভাত না খেলে আমি খাব না। সোমবার দিনভর ছিল প্রতিবেশীদের ভিড় সৌমাল্যর বাড়িতে ।

Leave a Reply