ASANSOL

আসানসোলে কম্বল কান্ড : মৃত তিনজনের বাড়িতে তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব,ঘটনার দায় বিরোধী দলনেতার বলে আক্রমন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বিশৃঙ্খলা ও হুড়োহুড়ির মধ্যে কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে এক নাবালিকা স্কুল পড়ুয়া সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর চারদিন আগের সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সরাসরি সেই সভার আয়োজনে বিজেপি না থাকলেও, বিরোধী দলনেতা সহ অন্য নেতারা সেখানে থাকায়, ঘটনায় অনেকটাই ব্যাকফুটে পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।


রবিবার দুপুরে মৃত তিনজনের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আসানসোলে আসে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। ছিলেন রাজ্যে তিন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক বিবেক গুপ্ত ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। ছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক সহ অন্যান্যরা। রেলপার এলাকার কাল্লা ও রামকৃষ্ণ ডাঙালে স্বজনহারা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করার পরে আসানসোলের জিটি রোডের রাহালেন মোড় সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত তুলোধোনা করলেন তারা। কম্বলের রাজনীতি করা হয়েছে বলে রাজ্য বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শশী পাঁজা, সায়নী ঘোষ ও বাবুল সুপ্রিয়রা।

তার আগে এদিন সকালে আসানসোলে নিজের বাসভবনে কম্বল কান্ডে পরে প্রথম বার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তিনি এই ঘটনাকে তৃনমুল কংগ্রেসের যড়যন্ত্র বলেন। তিনি একই সঙ্গে কাঠগড়ায় তোলেন পুলিশকেও।
গত বুধবার বিকেলে আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ ডাঙালে ‘শিব চর্চা ও মেগা কম্বল বিতরণ ” নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। এর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারির স্ত্রী স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালী তেওয়ারি। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি ভাষণ শেষে প্রতীকি কম্বল বিতরণ করে চলে যাওয়ার পরেই চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। সভায় কম্বল দেওয়ার কথা ছিল ৫ হাজার। তারজন্য খোলা হয় ৫টি কাউন্টার। কিন্তু অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ রাখতে তেমন কোন নিরাপত্তার ব‌্যবস্থা ছিল না। চরম বিশৃঙ্খলা, হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণ ডাঙালের চাঁদমনি দেবী ( ৫৫) ও প্রীতি সিং ( ১১) এবং কাল্লার ঝালি দেবী বাউরির (৬৩)। জখম হন আরো ৬ জন।

Leave a Reply