KULTI-BARAKAR

বরাকরে যুবক খুনের ঘটনা, স্ত্রীর পরে গ্রেফতার প্রেমিক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, কাজল মিত্র ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরের যুবক রাজু রুইদাসের খুনের ঘটনায় আগেই স্ত্রী সাবিত্রী রুইদাসকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এবার পুলিশ সাবিত্রীর প্রেমিক সনু রায়কে রবিবার সকালে আসানসোল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করলো। সাবিত্রীর পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষ হয় রবিবার। এদিন তাকে আবারও আরো পাঁচ দিনের জন্য হেফাজত চেয়ে আসানসোল জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ। পাশাপাশি এদিনই ধৃত সনুকেও ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে জেলা আদালতে তোলা হয়। দুটির আবেদন মঞ্জুর করেছ পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আসানসোল জেলা আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।


প্রসঙ্গতঃ, গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে কুলটি থানার বরাকরের ঝনকপুরা এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে শরীরের একাধিক জায়গায় ছুরির কোপ মারা অবস্থায় রাজু রুইদাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন মৃতর মামা অভিযোগ করেছিলেন, রাজু রুইদাসের স্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা যুবক সনু রায়ের সম্পর্ক আছে। ঐ যুবকের সাথে কিছুদিন আগেও সে ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে গেছিল। রাজুর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার সময় তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে ছিল না।


এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নামে রাজুর স্ত্রী সাবিত্রী রুইদাসকে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেয় । রবিবার সেই পাঁচদিনের পুলিশে হেফাজত শেষ হয়। সাবিত্রীর সঙ্গে সনুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথাও পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। সনু ঐ ঘটনার পরে বরাকর থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ তার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানতে পারে সে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে আছে। পুলিশ ধানবাদে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে সেখান থেকে সে পালিয়ে ট্রেনে আসানসোলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আসানসোল স্টেশন থেকে রবিবার সকালে বরাকর ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজশেখর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশের দল তাকে গ্রেফতার করে।


রবিবারই তাকে আসানসোল জেলা আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে সাবিত্রী রুইদাসকে দ্বিতীয় দফায় আবার ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়। আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সাবিত্রীকে ৫ দিন এবং সনুকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সনু এবং সাবিত্রীকে সামনাসামনি বসিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইবে কিভাবে ও কেন রাজুকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনায় আর কেউ ছিল কিনা। তাহলেই এই খুনের রহস্য উদঘাটিত হবে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন।

Leave a Reply