আসানসোলে মেডিকেল কলেজ গড়তে আগ্রহী টেকনো ইন্ডিয়া

সংস্থা ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।, প্রস্তাব গেছে শিল্প দপ্তরের কাছে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Medical College Proposal In Asansol ) পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে একাধিক মেডিকেল কলেজ থাকলেও আসানসোল শিল্পাঞ্চল বা মহকুমায় কোনও মেডিকেল কলেজ এই মুহুর্তে নেই।
রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছেন আসানসোলে কোন সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে মেডিকেল কলেজ তৈরি করার জন্য। শ্রম দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আসানসোল শহরে সেনরেল রোডে থাকা ইএসআই হাসপাতালে মেডিকেল কলেজ করা যায় কিনা তা নিয়েও তিনি ভাবনা চিন্তা করছেন। ইতিমধ্যেই এই ইএসআই হাসপাতালে বিএসসি নার্সিং কলেজ চালু করা হয়েছে।


শনিবার আসানসোল ক্লাবে দক্ষিণবঙ্গের বনিকসভা ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে একটি শিল্প সম্পর্কিত সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে ডিরেক্টর ইনা বসু বলেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের সাথে কথা বলার পর ও রাজ্যের শিল্প দপ্তরের সাথে আলোচনা করে আসানসোলে একটি মেডিকেল কলেজ গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারজন্য শুরুতেই সংস্থা ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়ে আমরা একটি ডিপিআর বা ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করেছি। পরে তিনি বলেন, এই মেডিকেল কলেজ আসানসোলে করার জন্য ন্যূনতম ২০ একর জমি দরকার। আমরা সেই জমির কথা রাজ্যের শিল্প দপ্তরে জানিয়েছি। আসানসোলের কোথায় জমি দেওয়া হবে সেটা অবশ্যই দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করবে।

riju advt


রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ও আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মেডিকেল কলেজের কথা উল্লেখ করেন। মলয়বাবু বলেন, আমাদের এলাকার ছেলেমেয়েরা যাতে স্থানীয় মেডিকেল কলেজে পড়তে পারে সেজন্যে বহুদিন ধরেই চেষ্টা করা হচ্ছে। জমি নিয়ে আশা করছি কোন সমস্যা তৈরি হবে না। এই মেডিকেল কলেজ হলে শুধু আসানসোল মহকুমার মানুষ নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষেরাও উপকৃত হবেন।


অন্যদিকে এই সেমিনারে দূর্গাপুরের হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের ডাঃ অরুণাংশ গাঙ্গুলী বলেন, আমরা ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আসানসোলে ৫০০ বেডের একটি হাসপাতাল তৈরি করার কাজ শুরু করেছি। যেখানে ১০০ টি বেড স্বাস্থ্যসাথীর মানুষদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ও ১৬০টি সি সি ইউয়ের বেড থাকবে। তাছাড়াও এই হাসপাতালে পরীক্ষা ও অস্ত্রোপচারের জন্য অত্যাধুনিক ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি আসানসোলে একটি চেরিটেবল ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য একটি পরিকল্পনা ভাবা হয়েছে বলে ডাঃ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন।
এছাড়াও এদিন বণিকসভার সভাপতি আরপি খৈতান ও সাধারণ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ রায় বলেন, মিশন হাসপাতাল ২০০ কোটি টাকায় আসানসোল একটি পৃথক হাসপাতাল গড়ে তুলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *