অনুব্রত মন্ডল ও সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদনই করা হলো না
১৪ দিন পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি আবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শুনানি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ গরু পাচার মামলায় শুক্রবার বীরভূমের জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের জামিনের আবেদনই করা হলো না। একইভাবে এদিন এই মামলায় জামিনে আবেদন করা হলো না দিল্লির তিহার জেলে থাকা সায়গল হোসেনের। স্বাভাবিক ভাবেই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মন্ডল ও সায়গল হোসেনকে আরো ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি আবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বলে বলে জানান দুজনের আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজ। তারা বলেন, আমরা মক্কেলদের জামিনের কোন আবেদন করিনি। তাই জামিন নাকচ করার কোন প্রশ্নই নেই । ১৪ দিনের হেফাজত শেষে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ তাকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার বা জেল থেকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আনা হয়। বেলা সাড়ে এগারোটার পরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে শুনানি শুরু হয়। এদিন একইসঙ্গে এই গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহার জেলে বন্দী অনুব্রত মন্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ভার্চুয়াল শুনানি হয়। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি এই মামলার শুনানির সময় অনুব্রত মন্ডলের জামিনের কোন আবেদন করা হয়নি। তবে সেদিন সায়গলের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেছিলেন।



প্রসঙ্গতঃ এই গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প রতন কুঠিতে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা হয়েছে অনুব্রতর চার ঘনিষ্ঠকে। তারা হলেন বোলপুর পুরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দোপাধ্যায় ওরফে মুন, বাহিরি-পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর সাধু, তার সহায়ক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অর্ক দত্ত ও অনুব্রতর বাড়ির পরিচারিক বিজয় রজক। তাদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাদেরকে লটারি কান্ড ও কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো একাউন্ট নিয়ে জেরা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম ঐ সমবায় ব্যাঙ্কে ১৭৭ টি ভুয়ো একাউন্টের হদিশ পেয়েছিলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারপর আরো ১৫৩ টি ভুয়ো একাউন্ট পাওয়া গেছে বলে সিবিআই দাবি করেছে। এই চারজনকে জেরা করার পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও ও সহকারী তদন্তকারী অফিসার আসানসোলে চলে আসেন । জানা গেছে, শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শুনানিতে তার একটি রিপোর্ট সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার জমা দিয়েছেন। যদিও, এদিনের শুনানির পরে অনুব্রত ও সায়গলের আইনজীবীরা বলেন, সিবিআই কোন রিপোর্ট দিয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।

প্রসঙ্গতঃ, কলকাতা হাইকোর্ট আগেই অনুব্রতর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে।
অন্যদিকে, অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে গিয়ে ইডির জেরার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত রুপ পায়নি। দিল্লি হাইকোর্টে সেই আবেদনের শুনানি এখনো ঝুলে রয়েছে। অনুব্রত মন্ডলের তরফে তার আইনজীবী সবমিলিয়ে মোট ৪টি মামলা করেছেন দিল্লি হাইকোর্টে।
- पश्चिम बंगाल के सभी नगर निगमों और नगर पालिकाओं में निर्वाचित स्थानीय सरकार के प्रतिनिधियों और प्राधिकारियों के लिए आधिकारिक मुलाकात के निश्चित घंटों का कार्यान्वयन होना चाहिए – Firoz Khan FK
- आमलादही बाजार के अवैध दुकानों पर चला चिरेका का बुलडोजर
- রাণীগঞ্জের লায়েন্স ডিএভি পাবলিক স্কুলে দুই দিবসীয় বই মেলা
- আমলাদহি বাজারে অবৈধ দোকানগুলিকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলল রেল প্রশাসন
- আসানসোলে প্রোমোটারের হুমকির মুখে পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, থানায় অভিযোগ