ASANSOL

আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হার্ডওয়্যার ক্লাবের পক্ষ থেকে “ইনোভেটিভ হার্ডওয়্যার মডেল মেকিং প্রতিযোগিতার আয়োজন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শুক্রবার আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হার্ডওয়্যার ক্লাবের পক্ষ থেকে “ইনোভেটিভ হার্ডওয়্যার মডেল মেকিং প্রতিযোগিতা” – র আয়োজন করা হয়।প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন
আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এর অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম ভট্টাচার্য, আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডিন ডঃ অর্পনা রাওয়াল, এইচওডি সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। প্রতিযোগিতায় ১৩০ টি টিম অংশগ্রহণ করে । ১ ম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে ৬৫০ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করে।



বিচারক মন্ডলীর মধ্যে ছিলেন ডাঃ চিত্তজিৎ সরকার – (ইসিই ডিপার্টমেন্ট), ডাঃ অপূর্ব চ্যাটার্জি – (ইসিই ডিপার্টমেন্ট), ডঃ অভিষেক ব্যানার্জি – (সিএসবিএস ডিপার্টমেন্ট) ও ডাঃ রমেশ সাহ – (এম ই ডিপার্টমেন্ট)। পুরস্কার প্রদান করেন রেজিস্ট্রার সন্দীপ হালদার এবং ফ্যাকাল্টি কো-অর্ডিনেটর সৌমেন সেন।



বিজয়ীদের মধ্যে ১ম পুরস্কার (ট্রফি সহ নগদ ৫০০০ টাকা) অর্জন করেন টিম লিডার স্বরাজ দাস (ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩ য় বর্ষ), ২য় পুরষ্কার (ট্রফি সহ নগদ ৩০০০ টাকা পুরস্কার) অর্জন করেন সুমন্ত বাউরি ( ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং ৩ য় বর্ষ ), ৩য় পুরস্কার (ট্রফি সহ নগদ ২০০০ টাকা) অর্জন করেন টিম লিডার আলতামাশ আহমেদ (ইসিই ১ ম বর্ষ)

এছাড়া ছিল জুরি চয়েস অ্যাওয়ার্ড ( ট্রফি সহ নগদ ১০০০ টাকা), বেস্ট প্রেজেন্টেশন অ্যাওয়ার্ড (ট্রফি সহ নগদ ১০০০ টাকা) ও বেস্ট ইনোভেটিভ আইডিয়া – (ট্রফি সহ ১০০০ টাকা নগদ)। এছাড়া ৭ম, ৮ম, ৯ম এবং ১০ম স্থানের বিজয়ীদের ইলেকট্রনিক গ্যাজেট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।



এ ব্যাপারে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য বলেন, আমরা আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্টুডেন্টদের হলিস্টিক ডেভেলপমেন্টের ওপর জোর দিয়ে থাকি। কাজেই স্কলাস্টিক ডেভেলপমেন্ট ছাড়াও কো – স্কলাস্টিক যে সমস্ত অ্যাকটিভিটি রয়েছে, এক্সট্রা ক্যালিকুলার যে সমস্ত অ্যাক্টিভিটি রয়েছে সেগুলোর ওপর আমরা সমান নজর দিয়ে থাকি। এর জন্য বিভিন্ন ক্লাব এবং সোসাইটি এখানে রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হার্ডওয়ার ক্লাব যেখানে প্রায় ১০০০ ছাত্রছাত্রী কাজ করছে। এই নেগেটিভ হার্ডওয়্যার মডেল মেকিং কম্পিটিশন হচ্ছে সেখানে ১৩০ টি প্রজেক্ট প্রতিযোগিতা করছে যেখানে তাদের ট্যালেন্ট প্রদর্শিত হচ্ছে যেখানে আমি মনে করি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আসানসোল তথা পশ্চিমবঙ্গকে রিপ্রেজেন্ট করবে।

২০১৯ সালে আমার মাথায় প্রথম আসে যে একটি হার্ডওয়্যার ক্লাব করলে সেখানে শুধু সার্কিট ব্রাঞ্চের ছাত্রছাত্রীরা নয়, এমনকি , কম্পিউটার সায়েন্স , আইটির ছাত্র ছাত্রীরা যাদের মূলত হার্ডওয়্যার ইন্টারেস্ট আছে তারা সাপ্তাহিক, মাসিক ইভেন্ট অর্গানাইজ করতে পারে। এরপর আমি সৌমেন সেন ফ্যাকাল্টি কো অর্ডিনেটর কে ডেকে বলি যদি এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। ফলস্বরূপ আমরা এই কয়েক বছর ধরে এমন ইভেন্ট অর্গানাইজ করছি। এছাড়া সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে এমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমরা আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কোডিং ক্লাবও খুলেছি। ভবিষ্যতে সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।



এই বিষয়ে সিএসই ডিপার্টমেন্ট ৪ র্থ বর্ষের ছাত্র ও প্রতিযোগিতার ইভেন্ট কো অর্ডিনেটর সূর্যদীপ সেন বলেন যে, এটি গত ২ মাস ধরে ১০০ জনের একটি বিশেষ টিম মিলে প্ল্যান করেছিলাম এটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য। ইসি ই ডিপার্টমেন্টের কো-অর্ডিনেটর সৌমেন সেনের সহযোগিতায় এই ইভেন্টে করানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। করোনার সময়তেও এই ইভেন্ট করানো হয়েছিল অফলাইনে। এবার প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ মোট সাড়ে ৭০০ প্রতিযোগী এখানে অংশগ্রহণ করেছিল। অটোমেটিক রোবট, স্ট্রিট লাইট প্রভৃতি বহু কনসেপ্ট এখানে প্রদর্শিত হয়। অটোমেশন, রোবট প্রভৃতি এখানে প্রদর্শিত হয়।

এদিকে ইসিই ডিপার্টমেন্ট এর ৩ য় বর্ষের ছাত্রী অনুরাধা দত্ত বলেন যে , এবার ছাত্রীরা এবং ব্যচমেটরা অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের উৎসাহ রয়েছে দেখবার মত। এছাড়া গতবার ছাত্রদের পাশপাশি ছাত্রীরা পুরস্কার ও জিতে নিয়েছিলেন। মহিলারাও এগিয়ে আসছেন এবং তাদের ভূমিকাও কিছু কম নয়।

Leave a Reply