ASANSOL-BURNPUR

বার্ণপুরে চাঞ্চল্য, নিখোঁজ নবম শ্রেণির ছাত্রর দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের রামবাঁধের বার্নপুর বয়েজ হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র শুভম আগরওয়ালের (১৪) নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরে তার দেহ মৃতদেহ উদ্ধার হলো। এই ঘটনায় ইস্পাত নগরী বার্ণপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
বার্ণপুরের দামোদর নদী লাগোয়া ভূতনাথ মন্দিরের অদূরে একটি জঙ্গলের পাশে জলের পাইপলাইনের ঝোপঝাড়ের মধ্যে থেকে শুভমের দেহ মেলে মঙ্গলবার বিকেলের পরে। দেহ ক্ষতবিক্ষত ও পচন ধরে ছিলো।

File photo


এদিকে, শুভমের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায় আসানসোল রেল স্টেশনের কাছে রেলপারের রেললাইনের কাছ থেকে। প্রাথমিকভাবে তদন্তের পরে এই ঘটনা অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। পুলিশ ঐ দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বুধবার সকালে দেহের ময়না তদন্ত হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তারপরেই ছাত্রর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


জানা গেছে, রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে শুভম আগরওয়াল বেরিয়েছিল। সে তখন বলেছিল দ্রুত বাড়ি ফিরে এসে খাবার খাবে। সঙ্গে ছিল তার মোবাইল ফোন। তারপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকেরা তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সোমবার হিরাপুর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন।
এদিন শুভমের কাকা সঞ্জীব আগরওয়াল বলেন, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সে তার মাকে বলেছিল আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরব। তারপর না ফেরায় তাকে মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও দেখা যায় তার মোবাইল সুইচ অফ। তার আত্মীয়-স্বজন ,পরিজনদের বাড়ি খুঁজেও তার খোঁজ মেলেনি। এরপর থানায় জানানো হয়েছিলো।


শুভমের বাবা মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলের পুলিশ তাদের খবর দেয়। সেই মতো তারা গিয়ে দেখেন দামোদর নদীর কাছে ভূতনাথ মন্দিরের অদূরে একটি জঙ্গল সংলগ্ন পাইপলাইনে ঝোপঝাড়ের মধ্যে হাত বাঁধা ও গলায় গামছার মতো কোন কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় আমার ছেলের দেহ পড়ে আছে। এরপর পরিবারের দেহটি সনাক্ত করা হয়। এরপর পুলিশ সেই মতো দেহটি সন্ধ্যায় জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। শুভমের পরিবারের লোকেরা রাতেই হিরাপুর থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের আশঙ্কা শুভমকে খুন করে ঐ জায়গায় কেউ বা কারা দেহ ফেলে দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply