ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

ট্রাক চালকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘন যানবাহনের যাতায়াতের রাস্তার মধ্যে হঠাৎ করে রহস্যময় ভাবে এক ট্রাক চালকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জামুরিয়া থানার, শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় বিহারের বাসিন্দা ট্রাক ড্রাইভার বীরেন্দ্র গুপ্তা, জামুড়িয়ার শিল্প তালুকে অবস্থিত রাজশ্রী নামের এক স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থেকে, লোহা তৈরির কাঁচামাল লোড করে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সে সময় ওই ট্রাকটিতে প্রায় ৩১ টন লৌহ আকরিক লোড করা ছিল বলেই দাবি করেছে ট্রাকের মালিক। আর সেই লোড করা লৌহ আকরিক নিয়ে, সেই ট্রাক দুর্গাপুরের রামদূত, নামের এক কারখানায় যাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সেই ট্রাক না এসে পৌঁছনই, বারংবার বিভিন্নভাবে ঐ ট্রাক চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন না হওয়ায় শেষমেষ ওই ট্রাকের জিপিএস সিস্টেম এর সূত্র ধরে ট্রাকটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করলে প্রাপ্তি মেলে 19 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জামুড়িয়ার চাঁদা ও বোগড়ার মাঝে। ট্রাকটিকে রাস্তার ধারে দাঁড় করানো ছিল। ওই ট্রাক ও ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির মালিক জিতেন্দ্র সিং এর দাবি, তিনি জিপিএস এর সূত্র ধরে ওই ট্রাকটির খোঁজ করে ট্রাকের গেট খুলতে লক্ষ্য করেন ড্রাইভারের কান ও নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে, পাশাপাশি তার ধারণা, তার গলায় কোন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর তার সাথেই তিনি লক্ষ্য করেন যে পরিমাণ লৌহ আকরিক ওই ট্রাকটিতে থাকার কথা, তার অনেকটাই কম রয়েছে ট্রাকটিতে।

এই সমস্ত বিষয়গুলি তিনি লক্ষ্য করে তড়িঘড়ি পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিলে, জামুরিয়া থানা ও শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে সমস্ত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করে, ঘটনার তদন্ত শুরু করার সাথেই, দেহটির ময়না তদন্তের জন্য তা আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। কিভাবে ওই চালকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে সকলে। ময়না তদন্তের পরই সমস্ত বিষয় স্পষ্ট হবে বলেই জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।

Leave a Reply