ASANSOL-BURNPUR

ইস্কো জমিতে দোকান নিয়ে তৃনমুল ও বিজেপির লড়াইয়ে সরগরম বার্ণপুর, থানার সামনে অগ্নিমিত্রা পালের ধর্ণা , পাল্টা বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্ণপুরে বিজেপি কর্মীর দোকান তৈরিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শনিবারের পর সোমবার আবারও ধর্ণা দিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে, বার্নপুর এলাকায় যে দুজনের পুরনো দোকান উচ্ছেদ আগেই করে দিয়েছিলো ইস্কো কর্তৃপক্ষে, তাদের দোকানের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ইস্কোর টাউন বিভাগের চিফ জেনারেল ম্যানেজারের দপ্তরের সামনের বিক্ষোভ দেখানো হয় রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের তরফে। তারপর দীর্ঘ আলোচনা করেন আসানসোল পুরনিগমের ১২ জন কাউন্সিলর সহ অশোক রুদ্র। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরাও।


এদিকে, দলের মহিলা কর্মীর দোকান তৈরীতে বাধা পাওয়ার প্রতিবাদে, সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বার্ণপুরে হিরাপুর থানার সামনে ধর্ণা অবস্থানে বসে বিক্ষোভে দেখান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, আমরা দু দিন আগেই অভিযোগ করেছিলাম পূর্ণিমা দে নামে এক মহিলাকে বার্নপুর বাজারে ইস্কো কারখানা কর্তৃপক্ষ জমি দিয়েছে, সেখানে তিনি নির্মাণ করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বাধা পাচ্ছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি পুলিশ প্রশাসন এই ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেন তাহলে আবার আন্দোলন করবো। যেহেতু পূর্নিমা দে তার জায়গায় কাজ করতে পারলেন না ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, সেই জন্যই হিরাপুর থানার সামনে এসে আমরা বিক্ষোভ শুরু করেছি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসে ও পুলিশ এক হয়ে কাজ করছে।


অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন, যে জায়গাটি ঐ মহিলাকে দেওয়া হয়েছে সেই জায়গায় আগে অশোক সাউ এবং দেবশ্রী ভদ্র নামে দুজন দীর্ঘদিন ব্যবসা করেছেন । ইস্কো কারখানা কর্তৃপক্ষ তখন এদেরকে উচ্ছেদ করে দিয়ে বলে, ঐ জায়গায় শৌচালয় তৈরি হবে। কিন্তু হঠাৎ কয়েকদিন আগে দেখা গেল বিজেপির কাউন্সিলর পদে পরাজিত এক প্রার্থীকে ঐ জায়গায় দোকান করার কাগজ ধরানো হয়েছে ইস্কোর তরফে। সোমবার আমি ১২ জন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে ইস্কো কারখানা চিফ জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছি । তারপর আলোচনা হয়। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি ওই জায়গাটি যেহেতু শৌচালয় করার জন্য ঠিক আছে তাই সেখানে শৌচালয় করা হোক। আর আগের দুজন এবং বর্তমানে পাওয়া আরও একজন এই তিন জনকেই বাজারের অন্য কোন জায়গাতে দোকান করতে দেওয়া হোক। অশোক রুদ্র ইস্কোর চিফ জেনারেল ম্যানেজারকে বলেন, যেহেতু এখানে অনেক কাউন্সিলর আছেন যারা ইস্কোর এলাকায় আবাসিকদের হয়ে কাজ করেন। সেই জন্য এই ধরনের সিদ্ধান্ত তারা নেওয়ার আগে প্রয়োজনে কাউন্সিলরদের সাথেও আলোচনা করে নেবেন। তাহলে কখনো আইন-শৃংখলার সমস্যা তৈরি হবে না। ইস্কোর তরফে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গতঃ এই একই ইস্যুতেই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুই পক্ষই দুদিন আগে দীর্ঘ সময় ধর্ণায় বসে ছিল।
বলা যেতে পারে, দোকান নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের রাজনীতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইস্পাত নগরী বার্ণপুর।

Leave a Reply