ASANSOL

আসানসোলে দখল মুক্ত করা জায়গায় সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা, অন্যত্র পুনর্বাসন দোকানদারদের, জানালেন মেয়র

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল শহরের জিটি রোডের গীর্জা মোড় থেকে চেলিডাঙ্গার শতাব্দী পার্ক পর্যন্ত রাস্তার ডানদিকে দখল মুক্ত করা সরকারি জায়গায় বিউটিফিকেশন বা সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা নিলো আসানসোল পুরনিগম। এর পাশাপাশি ঐ সরকারি জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা দোকানদারদেরকে অন্যত্র অর্থাৎ, প্রায় একই এলাকায় জিটি রোডের বাঁদিকে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল পুরনিগম। এমন দোকানদের সংখ্যা ৪৯ জন। তার তালিকা পুরনিগম কতৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে।


একইসঙ্গে জিটি রোডের চেলিডাঙ্গায় ভলভো বাসের যে স্ট্যান্ড রয়েছে সেটিকেও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি পরিকল্পনা আসানসোল পুরনিগমের তরফে করা হয়েছে। তারজন্য দুটি এলাকা পুরনিগমের তরফে চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি হলো সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণীতে এইচএলজি হাসপাতালের সামনে। অন্যটি হলো জিটি রোডের কুমারপুরে মনোজ সিনেমা হলের কাছে। এই ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আগামী সোমবার বাস মালিকদেরকে আসানসোল পুরনিগমে একটি বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এই বিষয়গুলি শনিবার এক সাক্ষাৎকারে জানান মেয়র বিধান উপাধ্যায়। মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শনিবার সকালে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আসানসোলের গীর্জা মোড় থেকে সেন্ট জোসেফ স্কুলের সামনের এলাকা পরিদর্শন করেন। মেয়রের সঙ্গে ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, পুর কমিশনার রাহুল মজুমদার, আর কে শ্রীবাস্তব সহ পুরনিগমের অন্য ইঞ্জিনিয়াররা ছিলেন।


প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি আসানসোল পুরনিগম জিটি রোডের ধারে এই এলাকায় বেআইনি নির্মাণ ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চালায়।
সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে তৈরি দোকানগুলি সরিয়ে দেওয়ায় দোকানদাররা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।
পাশাপাশি, পুনর্বাসন না দিয়ে এইভাবে উচ্ছেদ অভিযান করা ও শুধু একটি জায়গায় এই অভিযান হওয়ায় পুরনিগমের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিরোধী দলেরা। শহরের মানুষের মনেও প্রশ্ন উঠে যে, জিটি রোডের হটন রোড মোড় থেকে রাহালেন মোড় পর্যন্ত ও বাজারের ফুটপাত কবে দখল মুক্ত হবে?


এদিন পরিদর্শনের পরে মেয়র বিধান উপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, আসানসোল পুরনিগম দোকান সরিয়ে দিয়েছে ঠিক। কিন্তু কাউকে বেকার করা বা কারোর ব্যবসা তুলে দেওয়া পুরনিগমের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নয়। তিনি বলেন, আসানসোল শহরকে সুন্দর করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দখল মুক্ত করা জায়গায় পার্ক ও বিউটিফিকেশন করা হবে। আর দোকানদারদের জন্য বিকল্প দোকানের ব্যবস্থা করা হবে যাতে সে তারা ব্যবসা চালাতে পারেন। তিনি আরো বলেন, সব জায়গায় বেআইনি নির্মাণ ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। তবে, কবে হবে, তা নিয়ে পরিষ্কার করে এদিন মেয়র কিছু জানাননি।

Leave a Reply