BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনা মৃত্যু হল রেলকর্মীর, ঠিকাদারের গাফিলতির অভিযোগ

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায়
কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হল রোহিত কুমার শুক্লা নামক এক রেলকর্মীর ।জানা যায় বছর ৩০ এর এই যুবক চিত্তরঞ্জনের ছয়ের পল্লীর ২৭ নম্বর রাস্তার রেল কোয়ার্টারের বাসিন্দা।
গতকাল কারখানার এমটিএস শপে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ক্রেন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন। হঠাৎই তিনি অসুস্থ হয়ে প্রায় 35 ফুট উঁচু থেকে নীচে পড়ে যান। এরফলে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে,পা ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তার সহকর্মীরা রেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় রোহিত কে প্রথমে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ঐ রাতেই বারোটা নাগাদ সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় একেবারে ভেঙে পড়েছেন রোহিতের পরিবার ।বৃদ্ধা মা কেঁদেই চলেছেন। তার অসুস্থ বাবা একেবারেই কথা বলার অবস্থায় নেই। রোহিতের ছোটভাই আসানসোল জেলা হাসপাতালের মর্গে গেছেন দাদার দেহের ময়নাতদন্তের জন্য। রোহিতের বাবা প্রাক্তন সিএলডব্লু কর্মী। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার চাকরিটি পান রোহিত। এদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীদের আরও সচেতনতার সাথে কাজ করার উপর জোর দিচ্ছেন সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। তিনি বলেন তাড়াহুড়ো না করে সবসময় উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই কর্মীদের কাজ করতে হবে। রেল কর্তৃপক্ষ যাতে কর্মীদের সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেন সেই দাবি জানান তিনি।

লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত মৃত রেলকর্মীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন কর্মীদের কাজের জায়গায় সর্বোচ্চ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা রেল কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক কর্তব্য হওয়া উচিত, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্মীরা তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে বাধ্য হন – এরই পরিণতিতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।জানা যায় রোহিত শুক্লা প্রথমে কলনি থ্রিতে চৌকিদার পদে নিযুক্ত হন পরে হেলপার পদে এমটিএস শপে জয়েন করে।জানা যায় পা স্লিপ করে এই ঘটনা ঘটে, যা বলছে প্রত্যক্ষদর্শিরা।কিন্তু প্রশ্ন হল রোহিত 35 ফুট উপরে কি করছিল,এবং ওদের উপরে উঠে কাজ করার জন্য কোনো ট্রেনিং হয়েছে বলেও জানা যায়নি।তাছাড়া উঁচুতে কাজ করতে গেলে সেফটি বেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক, কিন্তু রোহিতকে কোনো সেফটি বেল্ট দেওয়া হয় নি বলেই খবর।

Leave a Reply