RANIGANJ-JAMURIA

জামুড়িয়াতে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : এবার বিজেপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করা বছর ২৭ এর অশোক চক্রবর্তী নামের এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য জামুড়িয়ার, বিজয়নগর এলাকায়। ঘটনাটি খুনের ঘটনা বলেই দাবি মৃতের পরিজনের। রবিবার এই খবর পুলিশ প্রশাসনের কাছে পৌঁছানোর পর পরই কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কিভাবে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে ইতিমধ্যেই
তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত বিজয়নগর মোড় কাছে অবস্থিত পুনর্বাসন কেন্দ্রের অদূরে মৃত অশোক চক্রবর্তীর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। জানা গেছে ওই যুবক হিজলগড়া গ্রামের সুত্রধর পাড়ার বাসিন্দা ছিল।

এই ঘটনার পরই মৃত যুবকের আত্মীয় ধনঞ্জয় চক্রবর্তী নিজের বক্তব্যের দাবি করে অশোককে হত্যা করে ফেলা দেওয়া হয়েছে। তার দাবি সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে তিনি খবর পান, তাদের গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। সে বিষয়টি শুনে তিনিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন দেহটি তাদের পরিবারের সদস্য অশোকের। উল্লেখ্য এই দেহটি যেখানে পড়েছিল তার বেশ কিছুটা দূরে গড়ে উঠছে পুনর্বাসনের জন্য সরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু বাড়িঘর। আর তার পাশেই গড়ে উঠছে একটি পাওয়ার স্টেশন।

এখন মৃতের পরিজনদের দাবি, মৃত অশোক কিভাবে কি উদ্দেশ্যে সেখানে যায়, ও কারা কি কারণে সেখানে তাকে নিয়ে যায় তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এদিকে এই ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ দাবি করেছে, ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর আসল রহস্য ভেদ করা সম্ভব হবে। তবে নির্জন স্থানে একাকী ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ কিভাবে এল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এদিকে এই যুবকের মৃত্যুর পরই বিজেপি নেতৃত্ব সন্তোষ সিং তার পরিবার-পরিজনদের কাছে গিয়ে দাবি করেছেন ওই যুবক তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তাকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনিও। আর এই দাবির পরই এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক রঙ লাগতে শুরু করে।

Leave a Reply