ASANSOL

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় : চিঠি চালাচালি অব্যাহত, এখনো ঝুলে উপাচার্যের পদত্যাগ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তীকে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের করা বরখাস্তর চিঠি প্রত্যাহার নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুতরফের আইনজীবীদের মধ্যে চিঠি চালাচালি অব্যাহত ছিল । ফলে শনিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগ করেননি বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
আচার্য তথা রাজ্যপাল কয়েকদিন আগে যে চিঠি দিয়েছিলেন উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো তা গত ১৮ মে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ছিলো। গত ১৯ মে উপাচার্য পদত্যাগ করবেন বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল।


কিন্তু আচার্যের পক্ষে তার বিশেষ সচিব মারফত উপাচার্যের কাছে বরখাস্ত প্রত্যাহারের যে চিঠি উপাচার্য পেয়েছিলেন তাতেই তিনি অসন্তুষ্ট হন । উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী জানান, ঐ চিঠির ভাষা আদালতের নির্দেশ মত হয়নি। সেখানে উপাচার্যের পদত্যাগের অংশটিকে জুড়ে দেওয়া হয়। এরপরেই উপাচার্য আচার্যের বিশেষ সচিবের কাছেই চিঠি পাঠান। ততেই তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত মতোই আচার্য তার চিঠি প্রত্যাহার করুন।
উপাচার্যের পক্ষ থেকে পাঠানো ঐ চিঠি পেয়ে আচার্যর আইনজীবী উপাচার্যকে জানিয়ে দেন তিনি যদি পদত্যাগ পত্র না দেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আদালত অবমাননা হবে।


অপরদিকে উপাচার্যের আইনজীবী আচার্যর ঐ আইনজীবীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেন আদালতের নির্দেশ মত আচার্য যদি চিঠি প্রত্যাহার না করেন তাহলে সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননা হবে। ফলে রাজ্যপাল তথা আচার্য বনাম উপাচার্যের এই চিঠি চালাচালিতে উপাচার্য শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পদত্যাগ পত্র জমা দেননি বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। উপাচার্য এদিন বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বা যে নির্দেশ সেই মতো আমার বরখাস্তের চিঠি প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গেই আমি পদত্যাগ পত্র দিয়ে দেবো।


প্রসঙ্গতঃ, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের মেয়াদ শেষে আরও তিন মাস কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে আচার্য তথা রাজ্যপাল নিয়োগপত্র পাঠিয়েছিলেন। সেই নিয়োগ আগামী ২৮ মে শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই গোটা বিষয়টি নিয়ে আচার্য ও উপাচার্যের সংঘাত শুরু হয়। যা, কার্যত নজিরবিহীন বলে শিক্ষা মহল মনে করছে।

Leave a Reply