RANIGANJ-JAMURIA

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য, আসানসোল। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের দুদিনের ঝড়বৃষ্টিতে নেনুয়া, ঝিঙে, বরবটি, করলা, পটল,পেঁপের’মত একের পর এক সবজি ক্ষেত প্রায় নষ্ট হল। দু’-তিন সপ্তাহ ধরে ফসল ফলতে শুরু হয়েছিল। ফসলের জমি তৈরি থেকে সার,বীজ, মজুরিতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তার সিকিভাগও আয় হয় নি বলে অভিযোগ চাষীদের। রানিগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের দামোদরের পাড় বরাবর নূপুর, বেলুনিয়া, নারানকুড়ি, তিরাট, চেলোদ, নিমচা এলাকায় কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন আনাজ চাষ করেন। এবছর সারা বৈশাখ মাসব্যাপী রোদের তেজে ঝলসে গিয়েছিল সবজির চারা। খরচ করে সেচ করে কিছুটা সবজি খেত বাঁচানো গেছিল। মাচা তৈরি করে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ঋণ নিয়েছিল চাষীরা। এখন জমির ফসলও ঝড়ে নষ্ট হয়েছে। সবজির নতুন পাতা ও মুকুল ছিঁড়ে গেছে। প্রখর গরমে পাম্প লাগিয়ে সেচের ব্যবস্থা করে কেউ কেউ সবজিখেত বাঁচিয়ে চাষের খরচটুকু তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। গত দুদিনের ঝড়বৃষ্টিতে সে আশাও শেষ হয়ে গেল।


নূপুর গ্রামের কৃষক অসিত গরাই জানান, সার-বীজ, সেচের জ্বালানি, মাচা তৈরির খরচ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না চাষীরা। কৃষিকাজে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা। এলাকার কৃষকদের দাবি, সবজিচাষে বীমার ব্যবস্থা করুক সরকার। সহজ শর্তে ঋণ পায় না কৃষকরা। এমন্টাই অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের কোনও খোঁজ নেয়নি ব্লক কৃষি দপ্তর ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের কেউই বলে একাধিক চাষী অভিযোগ করেন। সারা ভারত কৃষকসভার নেতারা বলেন , ব্লক কৃষি দপ্তরকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। অন্যদিকে রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমার কাছে অভিযোগ আকারে বিষয়টি এলে আমি নিশ্চয়ই কৃষির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে কথা বলবো।

Leave a Reply