BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

প্রাইমারি স্কুলের সামনে ধস, বিশালাকার গর্তে এলাকায় আতঙ্ক

বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, মনোজ শর্মা, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনি ব্লকের দোমহানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আচমকা ধস নামে বুধবার সন্ধ্যায়। সেই ধসে ঐ জায়গায় একটি বিশালাকার গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইদুজ্জোহার কারণে স্কুলের ছুটি ছিলো। তাই কেউ ঐদিন স্কুলে আসেনি। এদিকে এই ধসের ফলে শুক্রবার থেকে ঐ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা শিক্ষা দপ্তর। ভুল করে ধসের জায়গায় কেউ না চলে যায়, তারজন্য সেই এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।


ধসের খবর পেয়ে রাতেই স্কুলে ছুটে যান প্রধান শিক্ষক সুব্রত শর্মা। এরপর বিষয়টি তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শক অক্ষয় ভট্টাচার্য ও সালানপুরের বিডিও সৌমিত্র প্রতিম প্রধানকে জানান। ইদুজ্জোহার কারণে বৃহস্পতিবার স্কুলে ছুটি ছিলো। শুক্রবার যাতে কোন ছাত্র-ছাত্রী ভুল করে না আসে সেই কারণে এলাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা হয়।
বিদ্যালয় পরিদর্শক অক্ষয় ভট্টাচার্য বলেন, আমি শুক্রবার সকালে স্কুল পরিদর্শনে যাই। বিডিও বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ধস প্রবলিত এলাকা ঠিক করে দেওয়ার জন্য ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি পাঠিয়েছেন।


জেলা শিক্ষা অধিকারিক বা ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বিডিওর চিঠি আমি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ইসিএলের কর্তাদের সাথে কথা বলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
শুক্রবার সকালে ঐ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল স্কুল বন্ধ। কিন্তু স্কুলে ঢোকার মুখেই ডানহাতে একটি বিশালাকার গর্ত হয়েছে। বেশ গভীর সেই গর্তে এই ধস নেমেছে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।


বারাবনি ব্লকের স্কুল পরিদর্শক বলেন, এই প্রাথমিক স্কুলে তিনজন শিক্ষক ও ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী আছে। আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছিলাম আপাতত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের কাছাকাছি অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে ক্লাস করাতে।
প্রধান শিক্ষক এদিন জানিয়েছেন, এখান থেকে তিন কিলোমিটার দূরে শ্যামসুন্দরপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল আছে। কিন্তু এত দূরে এখানকার বাচ্চারা যাবেনা। স্কুল পরিদর্শক আরো বলেন, প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছি শুক্রবার থেকে যেন স্কুলের ভেতরে ছাত্রছাত্রীরা না যায়। আপাতত ক্লাস বন্ধ রাখতে বলেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত স্কুলের ঐ জায়গাটি ঠিকঠাক ভরাট হয় এবং নিরাপত্তা ঠিক হয়। এছাড়াও শুক্রবার স্কুলের শিক্ষকদের ভোটের প্রশিক্ষণও আছে।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, বিকল্প কি ব্যবস্থা করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।
ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার ওয়াই পি কে সিং বলেন, আমার কাছে এখন এই খবর আসেনি। খবর পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply