ASANSOL

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় : আর্থিক অনিয়ম ও একাধিক বিষয় নিয়ে প্রাক্তন ভিসি ও এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে হবে তদন্ত, জানালেন উপাচার্য

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ ( Asansol Kazi Najrul University News ) মাত্র কয়েক মাস আগেও সংবাদ শিরোনামে ছিলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। আর্থিক অনিয়ম সহ একাধিক অভিযোগ এনে তৎকালীন উপাচার্য তথা ভিসি ( ভাইস চ্যান্সেলার) ডঃ সাধন চক্রবর্তীকে সরানো বা তার পদত্যাগ দাবি করে সরব হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিক্ষা কর্মী ও পড়ুয়াদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত তার অন্তর্বর্তীকালীন মেয়াদ শেষ হলে, গত ২ জুন নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রফেসর দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায়।


সোমবার কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রফেসর দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায় জানান, প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে যেসব আর্থিক অনিয়ম ও অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করা হবে। এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন। তা পাঠানো হয়েছে। উপাচার্য আরো বলেন, তদন্তের নির্দেশের কথা সেখান থেকে আমাকে জানানো হলেও বলা হয়েছে এই সম্পর্কে আরো একটি চিঠি পাঠানো হবে। সেই চিঠির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। তবে আচার্য তদন্তের যে নির্দেশের কথা বলেছেন তাতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও নিয়ম মেনে এই তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক যিনি প্রাক্তন উপাচার্যের সঙ্গে একাধিক দায়িত্ব নিয়ে কাজকর্ম করেছেন তার বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। তারও তদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই সেই তদন্তের জন্য একটা কমিটি করা হয়েছে। সেই অভিযোগগুলি ঐ আধিকারিকের কাছে পাঠিয়ে তার বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সাত দিন আগেই তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠি মেয়াদ শেষ হচ্ছে সোমবার বিকেল পাঁচটায়।


তিনি বলেন, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক করা হয়েছে। সেই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অচলাবস্থা গত কয়েক মাস আগেও ছিল তাও কেটে গেছে বলে মনে করছি। এরজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, কর্মী থেকে পড়ুয়া সব মহলের পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছি।
এই বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছু গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে এবং সেই গাছগুলো গেল কোথায় বা সেগুলো বিনিময় যদি টাকাও এসে থাকে তাহলে সেই টাকাই বা গেল কোথায় এই নিয়েও তদন্ত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার, আচার্য সকলেই চান কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই সব ক্ষেত্রেই বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন রেজিস্ট্রার ডঃ চন্দন কোনার।

Leave a Reply