RANIGANJ-JAMURIA

দুই রাজনৈতিক দলের পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে, বিকেলটাই জমে উঠল রানীগঞ্জে

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী , রানীগঞ্জ : দুই পৃথক স্থানে দুই রাজনৈতিক দলের পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে, শনিবার বিকেলটাই জমে উঠল রানীগঞ্জের শহর ও গ্রামীণ এলাকার রাজনৈতিক পরিবেশ। একদিকে বিকেলে যখন রানীগঞ্জের তার বাংলা থেকে তৃণমূলের রানীগঞ্জ ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে, একুশে জুলাই এর সমর্থনে, মহা মিছিলের আয়োজন করে, অসংখ্য মহিলা পুরুষ, ছাত্র, যুব,ও শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সমর্থকদের, সঙ্গে নিয়ে রানিগঞ্জ বাজার ঘুরে একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচিকে সফল করার ডাক দিয়ে, বাজারের বিভিন্ন স্থানে, একুশে জুলাই কি, ও কেন এই কর্মসূচি, সে বিষয়গুলি উপস্থাপনের সাথেই, সদ্য নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়ে প্রসঙ্গেও মত প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব, রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস ব্যানার্জী,আর তার নেতৃত্বে এদিন, রানীগঞ্জের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রুপেশ যাদবের পরিচালনায়, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা একুশে জুলাই নিয়ে প্রচার কর্মসূচি সারলেন।



সেখানেই এদিন রানীগঞ্জ ব্লকের আমড়াসোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশড়া গ্রাম অঞ্চলে বাজি ফাটিয়ে তাসা পার্টির বাজনা সবাই মেতে উঠে, আমড়াসোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয় কে, মানুষজনের জয় বলে দাবি করে, সিপিএম এর জয়ী প্রার্থী সঞ্জয় হেমব্রম, জানালেন এত সন্ত্রাস করার পরও বিজয় মিছিল করতে পারলাম, তার কারণ এটা শুধু আমাদের জয় নয় আমড়াসোতার মানুষের জয়। এখানে মানুষ সন্ত্রাসকে প্রতিরোধ করে সন্ত্রাসের মোকাবেলা করেছে যার ফলেই এই জয় লাভ। তার দাবি এর আগে যারা সিপিএমের হয়ে ভোটে জয়লাভ করে বিরোধী দলে চলে গেছিল তাদের দুজন এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বুঝে গেছে মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ চাই চোর মুক্ত পঞ্চায়েত। এ জয় খেটে খাওয়া মানুষের জয়। তার দাবি আজকে যে আমি বেঁচে রয়েছি সেটা একমাত্র সেন্ট্রাল ফোর্সের সক্রিয় হওয়ার কারণেই সম্ভব হয়েছে নয়তো তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী আমায় প্রাণে মেরে ফেলত। এতক্ষণ হয়তো আমার শরীরে পোকা ধরে যেত আমি থাকতাম মাটির নিচে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী সময় মত দুষ্কৃতিদের দূরে সরিয়ে মানুষের অধিকার রক্ষা করেছে।



যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নেতৃত্বের দাবি প্রত্যেকেই নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার ও মতামত প্রকাশ করেছে। আর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বত্রই বিরোধীরা শুধু বিরোধিতার জন্যই ও মানুষের কাছে সহানুভূতি পেতে এ ধরনের কথা বলে চলেছে। আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কাছে সমস্ত পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে মানুষের মন জয় করেছে, বলেই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু ভগত।

শনিবারের সিপিএমের বিজয় জুলুসে মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। মহিলা পুরুষ সকলেই লাল আবিরের ঝড় তুলে বাঁশড়া অঞ্চলে সিপিএমের জয়লাভকে দারুন ভাবে উপভোগ করল।

Leave a Reply