বিজেপি জেলা সভাপতির সামনেই ক্ষোভ কর্মীদের
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, মনোজ শর্মা, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* পঞ্চায়েত ভোটের দিন সময়ে সময়ে জেলা নেতৃত্বকে ডেকেও পাননি বিজেপি কর্মীরা। যখন অশান্তি চলছিল তখন তাদের বারবার ফোন করা সত্ত্বেও কোনও রকমের সহযোগিতা মেলেনি। আর তাই দলের জেলা সভাপতিকে সামনে পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল বারাবনির বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। বুধবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের বারাবনি ব্লকের বারাবনি রেলগেট লাগোয়া একটি চায়ের দোকানের সামনে। প্রকাশ্যে জেলা সভাপতি দিলীপ দের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তুমুল বাদানুবাদ ও তর্কবিতর্ক হয়। যা দেখে হতচকিত হয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা।
এই ঘটনা বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ভালো চোখে নেয়নি বলে জানা গেছে। তবে শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস এই ঘটনা জানার পরেই কটাক্ষ করতে দেরি করেনি।
জানা গেছে, শুক্রবার ২১ শে জুলাই রাজ্য জুড়ে বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে। আর সেই কর্মসূচির আগে বৃহস্পতিবার বারাবনির দোমোহানি এলাকায় বারাবনি রেলগেটের কাছে দলের কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে গেছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে। কিন্তু দিলীপ দেকে হাতের সামনে পেয়ে কৈলাশ বাউরির মতো বেশ কিছু বিজেপি কর্মী ও সমর্থক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের সময় যখন অশান্তি চলছিল। যখন পোলিং এজেন্ট হিসেবে বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছিলো না, বিজেপি কর্মীদের তাদের মারধর করা হয়েছিল, তখন বারবার জেলা নেতৃত্বকে ফোন করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা কোনও রকমের সহযোগিতা করেননি। আর সেই কারণেই তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
যদিও বিষয়টি নিয়ে দিলীপ দে কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, বিক্ষোভকারীরা আদৌও দলের কর্মী ও সমর্থক কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
এই নিয়ে তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, এই তো অবস্থা। তাই তো বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা তৃনমুল কংগ্রেসে আসার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তার পরামর্শ, আগে নিচুতলার কর্মীদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করুন। তারপর অন্য কিছু ভাববেন।