ASANSOL

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু কিশোরের, খাটাল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুরনিগমের ভূমিকা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো আসানসোলের এক কিশোরের। মৃত কিশোরের নাম অবিনাশ সাউ (২০)। মৃত কিশোরের বাড়ি আসানসোল পুরনিগমের ৪২ নং ওয়ার্ডের আসানসোলের এসবি গরাই রোডের ১৯, রাঙ্গানিয়া পাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ দূর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঐ কিশোরের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। ঐ হাসপাতাল থেকে কিশোরের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ” ডেঙ্গু হ্যামেরোজিক ফিভার ” বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


আর অন্যদিকে, এই মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসেছে আসানসোল পুরনিগম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। সকালেই খবর পেয়ে এলাকায় যান ৪২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডঃ অমিতাভ বসু। তার সঙ্গে যান পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের স্বাস্থ্য কর্মী, আশা কর্মী ও সাফাই কর্মীরা। দুপুরের পরে পুরনিগমের মেডিক্যাল অফিসার সহ একটি টিম নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগৎ।


জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঐ কিশোরের মৃত্যু হওয়ার কথা সরকারি ভাবে এদিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এলাকায় টিম গেছে। নজরদারি চলছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ সামলাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই ডেঙ্গুতে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই ঐ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা গেছে, আসানসোল পুরনিগমের ৪২ নং রাঙ্গানিয়া পাড়া এলাকায় একাধিক খাটাল রয়েছে। সেই খাটালের গোবর ও নোংরা আবর্জনা যেখানে সেখানে পড়ে থাকে। তাতে নালি নর্দমা ভরে থাকে। জমে থাকে জল। এলাকার বাসিন্দারা এদিন অভিযোগ করে বলেন, আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষের নজরদারি ও পদক্ষেপ না থাকায় এই এলাকা ডেঙ্গুর আতুঁরঘর হয়েছে।


যদিও আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে চায়নি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে ঐ এলাকায় কাজ করা আসানসোল পুরনিগমের আশা কর্মীরা বলেন, খাটাল মালিকেরা কোন কথা শোনেননা। বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেয়না। ঐ কিশোর যে গত ৫/৭ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত, তাও পরিবারের সদস্যরা চেপে যান। তাকে যে দিন কয়েক আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাও তারা জানাননি। কাউন্সিলারের দাবি, আমি নিজে কয়েকবার এলাকায় খাটাল মালিকদের জন্য এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, এলাকার বাসিন্দাদেরকে ঐ খাটাল মালিকদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে স্মারক লিপি দিতে বলেছিলাম। তাও তারা দেননি।

Leave a Reply