ASANSOL

মাশরুমের তরকারি খেয়ে খাদ্য বিষক্রিয়া, অসুস্থ ১ শিশু সহ একই পরিবারের ৬ জন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ মাঠ থেকে তুলে আনা মাশরুমের তরকারি খেয়ে খাদ্য বিষক্রিয়া। তাতে অসুস্থ একই পরিবারের ৬ জন সদস্য। তাদের মধ্যে ১ জন শিশু আছে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের উত্তর ধাদকা এলাকায়। সন্ধ্যা ছটা নাগাদ এই ৬ জনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাদেরকে ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। অসুস্থরা হলো পুষ্পা দেবী (২১), উষা দেবী (৩২), রাভতি দেবী (৬০), লতা কুমারী (১১), প্রিয়াঙ্কা কুমারী (১০) ও মানব কুমার (২)। পুষ্পা দেবীর মেয়ে ও ছেলে হচ্ছে প্রিয়াঙ্কা ও মানব। ৬ জনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ফিমেল ও চাইল্ড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ৬ জনের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসককে পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, দুপুরে ভাতের সঙ্গে তারা মাশরুমের তরকারি খেয়েছিলেন। দুপুর তিনটের পর থেকে সবারই বমি ও পায়খানা শুরু হয়। তারপরে তারা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
চিকিৎসকদের মত, মাঠে ঘাটে এই বর্ষাকালে মাশরুমের মতো দেখতে এই জিনিস পাওয়া যায়। যা মানব শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। এটা খাওয়া একবারেই উচিত নয়। এই খাওয়ার জন্যই খাদ্য বিষক্রিয়া হয়েছে। তারজন্য সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।


জানা গেছে, আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের উত্তর ধাদকার প্রসাদ পরিবারের সদস্যরা এদিন সকালে বাড়ির অদূরে মাঠ থেকে এই মাশরুম তুলে আনেন। এরপর তা দিয়ে তরকারি করে বাড়ির মহিলা ও শিশুরা দুপুরে ভাতের সঙ্গে তা খান। বাড়ির পুরুষ সদস্যরা কাজের জন্য সবাই বাইরে ছিলেন। তাই তারা কেউ সেই তরকারি খাননি।
অসুস্থ হয়ে পড়া পুষ্পা দেবীর স্বামী রমেশ প্রসাদ বলেন, বাড়িতে দুপুরে ছিলাম। পরে এসে শুনি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জানতে পারি, তারা সবাই মাঠ থেকে তুলে আনা মাশরুমের তরকারি খেয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ, দিন কয়েক আগেই আসানসোলে কুলটি থানার নিয়ামতপুরেও একই ঘটনা ঘটেছিলো। মাশরুমের তরকারি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন একই পরিবারের ১২ জন সদস্য। সবাইকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিলো।

Leave a Reply