ASANSOL

আসানসোলে ডিআরএমের সাংবাদিক সম্মেলন, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষায় আরো জোর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আসানসোল সহ বেশ কয়েকটি রেল স্টেশনকে যখন বিশ্বমানের করার কাজ শুরু হচ্ছে, ঠিক তখন ট্রেন যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষার উপরেও আরো জোর দিতে রেল একাধিক ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নিয়েছে। আরো কিছু নতুন প্রস্তাব এরই সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে আসানসোল ডিআরএম অফিসের কনফারেন্স হলে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া আসানসোলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বা ডিআরএম চেতনা নন্দ সিং এক সাংবাদিক সম্মেলনে এইই কথা জানান। তার সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বা এডিআরএম আশীষ ভরদ্বাজ, সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্সিয়াল ম্যানেজার শান্তনু চক্রবর্তী, সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার রাহুল রাজ সহ ডিভিশনের অন্যান্য আধিকারিকরা।


জানা গেছে, গত অর্থ বর্ষে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে ৪ কোটি ৩২ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন এই ডিভিনের বিভিন্ন স্টেশন থেকে। বর্তমানের এই ডিভিশন দিয়ে ১২০ টি যাত্রীবাহী ট্রেন যাত্রীদের নিয়ে যাতায়াত করে।
ডিআরএম এদিন আরো বলেন, গত কয়েক মাসে আসানসোল ডিভিশন বেশ কয়েকটি স্টেশনে নতুন করে যাত্রী ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হয়েছে। রূপনারায়ণপুর সহ যেসব স্টেশনে ২৪ বা তার বেশি কামরার ট্রেন দাঁড়াতে প্ল্যাটফর্মে জায়গা হয়না, সেইসব স্টেশনগুলিতে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিভিশনের বেশ কিছু ছোট ও বড় রেল স্টেশনে ট্রেন ইনডিকেশন বোর্ড লাগানো হবে। যাত্রীদের স্বার্থে সিউড়ি, মধুপুর, আসানসোল, রানিগঞ্জ ,পাণ্ডবেশ্বর ও পানাগড়ে বেশ কয়েকটি লিফট লাগানো হবে। একই সঙ্গে দুর্গাপুর এবং শিমুলতলায় দুটি করে এসকালেটর লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমান অর্থবর্ষে চিত্তরঞ্জন, আসানসোল, জসিডি ,মধুপুর ,শিমুলতলা, রাজবাঁধ, সীতারামপুর এবং বারাবনিতে ৯টি রেল ফুটওভার ব্রিজ বা আরওবি তৈরির কাজ হবে। একইসঙ্গে এই ডিভিশনে ১৫ টি লেভেল ক্রসিংও তুলে দেওয়ার কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।


আসানসোল স্টেশনে জলের এটিএমগুলি চালু করার জন্য টেন্ডার আবার নতুন করে করা হবে বলে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যদি যাত্রী পরিসেবা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা ও তার সমাধানের কথা আপনাদের মনে হয় দুটোই আমাকে হোয়াটস অ্যাপে লিখে পাঠাবেন। আমি তা গুরুত্ব সহকারে দেখবো।


সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার রাহুল রাজ বলেন, ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে চেন টেনে ট্রেন দাঁড়ানোর জন্য চলতি বছরে ১৩০ জনের বিরুদ্ধে কেস হয়েছে। পাশাপাশি ১৫৪ জনের মতো গত এক বছরে রেল লাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান। এই দুই কারণেই ট্রেনের চলাচলের কিছুটা দেরি হয়। এরজন্য আরপিএফ থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ সবাইকে নিয়ে যৌথভাবে বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতার শিবির করা হচ্ছে। যাতে এইসব আটকানো যায়।

Leave a Reply