ASANSOL

আসানসোলের খনিতে মজুত উন্নতমানের ৩৭ মিলিয়ন কয়লা, হাইওয়াল প্রজেক্টে তুলতে উদ্যোগী ইসিএল, বৈঠকে আলোচনা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার ইসিএলের সাতগ্রাম শ্রীপুর এরিয়ার আসানসোলের কালিপাহাড়ির নিউ ঘুষিক কোলিয়ারির মুসলিয়া খনি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এই কয়লাখনির ভেতরে উন্নতমানের ৩৭ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত আছে। সেই কয়লা তোলার জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে। ইসিএল কতৃপক্ষ ঠিক করেছে, ” হাইওয়াল প্রজেক্ট” র সাহায্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই কয়লা তোলা হবে। কিন্তু ইসিএল কতৃপক্ষ ওপেন কাস্ট বা খোলামুখ কয়লাখনি করে এই কয়লা তুলবে, এই ভেবে স্থানীয় মানুষের আতঙ্কিত হয়ে বাধা দিচ্ছিলেন।


তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার নিউগুষিক এজেন্ট অফিসে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হাইওয়াল প্রজেক্টের এজিএম রাহুল কুমার, এজেন্ট রামপ্রসাদ পান্ডে, পার্সোনাল ম্যানেজার অপূর্ব বিশ্বাস , কোলিয়ারি ম্যানেজার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন এই খনি এলাকার আসানসোল পুরনিগমের ৩৯ এবং ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর, এলাকার ওয়ার্ড সভাপতি ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নেতারা। ইসিএলের আধিকারিকরা গোটা বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

ইসিএলের আধিকারিক বলেন, এখানে কোন খোলা মুখ কয়লাখনি হবে না। একটা বিশেষ ধরনের ভূগর্ভস্থ খনি করে হাইওয়াল প্রজেক্টের সাহায্যে সেখান থেকে মেশিনের মাধ্যমে কয়লা বার করা হবে। এরিয়ার আইএনটিইউসির জেসিসি সদস্য বাদল মিশ্র বলেন, এই মুসলিয়া কোলেয়ারি ১৫ বছরের বেশি সময় আগে গ্যাসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে ৮০০ মিটার ভূগর্ভে ৩৭ মিলিয়ন উন্নত মানের কয়লা মজুত আছে। সিএমপিডিআই আগে বোরহোল করে এর সমীক্ষা করেছে। প্রথমে ইসিএল কতৃপক্ষ ভেবেছিলো খোলামুখ কয়লাখনি করে, সেই কয়লা তুলবে। কিন্তু জমির দাম সহ নানা কারণে ইসিএল তার থেকে পিছিয়ে আসে। এখন তারা ঠিক করেছে বিশেষ পদ্ধতিতে ভূগর্ভস্থ খনির ভেতর থাকা এই বিপুল পরিমাণ কয়লা তুলবে। এতে এলাকার কোন মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙতে হবে না বা কাউকে উচ্ছেদ করতে হবে না।

বাদলবাবু আরো বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের এই ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছি। আগামী ১১ আগস্ট এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত বৈঠক হবে। এই খনি তৈরি হলে এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে বাদলবাবুর দাবি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জানা গেছে, সবমিলিয়ে এই পরিমাণ কয়লা তুলতে ২০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
প্রসঙ্গতঃ, এর আগেও এই কয়লা তোলা নিয়ে ইসিএলের আধিকারিকরা বৈঠক করেছেন।

Leave a Reply