PANDESWAR-ANDAL

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বন্ধ থাকা সিপিএমের পার্টি অফিস খোলালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি,সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ

বেঙ্গল মিরর, অন্ডাল ,চরণ মুখার্জী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বেরোনোর দিন, রাজনৈতিক সৌজন্যের সাক্ষী হয়ে থাকলো দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল।
দীর্ঘদিন অর্থাৎ সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে বন্ধ থাকা সিপিএমের পার্টি অফিস নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খোলালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন সিপিএম নেতা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ ও মন্ত্রী বংশগোপাল চৌধুরী। শুক্রবার ঘটনাটি অন্ডালের কাজোরা মোড়ে। এদিন সিপিএমের পার্টি অফিসটি খুলে দেওয়া হল।


রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল সিপিএমের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন ধরে এই পার্টি অফিসটি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তালা মেরে রেখে দিয়েছেন। তারস সিপিএমের রাজনৈতিক কার্যকলাপে বাধা দিচ্ছেন। দলীয়ভাবে সিপিএমের তরফে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমুল কংগ্রেসের সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানানো হয়েছিলো। এরপর এদিন শাসক দলের জেলা সভাপতি নিজে উপস্থিত থেকে সিপিএমের পার্টি অফিস খুলে, নেতৃত্বকে ফিরিয়ে দিলেন।


সিপিএমের তরফে বংশগোপাল চৌধুরী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সৌজন্যতা দেখান। তারা চা খান।
পরে বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু বিরোধী দলেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। কিন্তু এই দলের অফিসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। এদিন তা খোলা হলো। তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এসেছিলেন। সে আমার ছোট ভাইয়ের মতো। চা খেলাম।
অন্যদিকে, তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় একটা গন্ডগোল হয়। তারপর সিপিএমের এই পার্টি অফিস খুলছিলো না। রাজ্য নেতৃত্ব তা জানতে পারে। আমি এসেছি। তিনি বলেন, বংশগোপাল চৌধুরী আমার দাদার মতো। কলেজে সিনিয়র ও জুনিয়র হিসাবে এসএফআই ও ছাত্র পরিষদ করতাম। রাজনীতিতে বিরোধী না থাকলে, প্রশ্ন উঠে।

Leave a Reply