DURGAPUR

” স্বাস্থ্যসাথী” তে প্রাণ বাঁচলো ১২ বছরের বালকের

দুর্গাপুরের আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* সাইকেল চালাতে গিয়ে বাঁশের উপরে গুরুতর জখম হওয়া ১২ বছরের এক বালকের প্রাণ বাঁচলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি সফল অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে । এই প্রসঙ্গে হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি, রাজ্য সরকারের প্রকল্প ” স্বাস্থ্যসাথী ” তে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাদের আরো দাবি, ঐ বালক আপাততঃ বিপদমুক্ত রয়েছে।


জানা গেছে,গত ২৭ আগষ্ট পাণ্ডবেশ্বরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেল নিয়ে বাঁশের ওপর পড়ে যায় বীরভূমের দুবরাজপুরের বছর ১২র সৌভিক ভান্ডারি। ঐ ঘটনায় তার প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয় ও তাতে সে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সৌভিককে দুর্গাপুরের বেসরকারি আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসকেরা তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করেন। গঠন করা হয় তিনজনের চিকিৎসককে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড।


আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন সার্জন ডাঃ শুভজিৎ শর্মা (সিটিভিএস সার্জন), ডাঃ সীতারাম ঘোষ (জেনারেল সার্জন) ও ডাঃ সিএস সিং (পেডিয়াট্রিক সার্জন) সহ অন্য চিকিৎসকদের একটি দল ৫ ঘন্টার একটি জটিল অস্ত্রোপচার করেন। বালকের জীবন বাঁচান চিকিৎসকেরা।
এই অস্ত্রোপচারে বালকের ফুসফুসে গেঁথে যাওয়া বাঁশের টুকরো বার করা হয়। বাঁশের টুকরো ঢুকে ফেটে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বাঁদিকের ফুসফুস, কিডনি এবং লিভার। ফুসফুস, কিডনি এবং লিভারের ক্ষত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সারিয়ে তোলা হয়।

বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শুভজিৎ শর্মা বলেন, মারাত্মকভাবে ফুসফুসে আঘাত পেয়েছিল ঐ বালক। যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এই অস্ত্রোপচার। সেই ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রপচার সফল হয়েছে। সৌভিকের মা সিমা ভান্ডারি ও কাকা প্রশান্ত ভান্ডারি বলেন, স্বাস্থ্য সাথী না থাকলে হয়তো চিকিৎসার খরচ যোগানো অসম্ভব ছিল। স্বাস্থ্য সাথী বাড়ির ছেলেকে ফিরিয়ে দিল। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই স্বস্থ সাথী প্রকল্পটি করার জন্য আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই ।
তারা তাকে নতুন জীবন দেওয়ার জন্য দুর্গাপুরের আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সমস্ত মেডিকেল ও নন-মেডিকেল কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply