ASANSOL

আসানসোলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার কেবল চুরির ঘটনা, লিলুয়া থেকে গ্রেফতার ১

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ ( Asansol News Today ) বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় আসানসোল শহরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার হাল ফেরাতে এক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তার জন্য বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই আসানসোল শহরে আন্ডার গ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে সেই কাজের বরাত পাওয়া একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রায় ৪৯৮ মিটার কেবল ড্রাম চুরি হয়। সেই ঘটনার প্রায় ৪ মাস পরে হাওড়ার লিলুয়া থানা এলাকা থেকে মুল অভিযুক্ত হিসাবে একজনকে গ্রেফতার করলো আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। লিলুয়া থানার জগদীশপুর পুলিশ ফাঁড়ির জগদীশপুর মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা ধৃতর নাম মহঃ জহিরুল। বুধবার ধৃতকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজত চেয়ে আসানসোল আদালতে পাঠায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।


রাজস্থানের একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে আসানসোল শহরের ১১ কেভির আন্ডার গ্রাউন্ড কেবল বসানোর দায়িত্ব পেয়েছিলো রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের তালিকাভুক্ত আসানসোলের একটি বেসরকারি কোম্পানি। সেই কোম্পানির কর্ণধার সব্যসাচী রায় এই চুরির কথা জানিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৯ নং ধারায় একটি এফআইআর করে।


বেসরকারি কোম্পানির কর্ণধার সব্যসাচী রায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায় যে, আসানসোল শহরের জিটি রোডের উষাগ্রামের ক্যালকাটা বয়েজ স্কুলের সামনে গত ১৬ আগষ্ট (৩সি × ৩০০ স্কোয়ার এমএম) কেবল ড্রাম আছে। কিন্তু ২৯ আগষ্ট জানা ৪৯৮ মিটারের উন্নতমানে কেবল ড্রাম সেখানে নেই। এই কেবলের বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। তারপর গত কয়েক দিন খোঁজখবর করে কোম্পানির কর্ণধার জানতে পারেন, চোরেরা তা চুরি করে নিয়ে গেছে। এরপর তিনি আসানসোল দক্ষিণ থানায় গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে এফআইআরও হয়।


উল্লেখ্য, ১৯ নং জাতীয় সড়ক থেকে কালিপাহাড়ি ফ্লাইওভার হয়ে আসানসোল শহরে ঢোকার প্রধান জায়গা হলো জিটি রোডের উষাগ্রাম এলাকা। এই এলাকায় আসানসোলের দক্ষিণ থানার পুলিশের নাকা পয়েন্ট আছে। রয়েছে টহলদারি মোবাইল ভ্যান ও সিসি ক্যামেরার নজরদারি। তারমধ্যে এই এলাকা থেকে কেবল ড্রাম চুরি যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র ধরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গত মঙ্গলবার হাওড়ায় লিলুয়া থানার জগদীশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মহঃ জহিরুল গ্রেফতার করে।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তি এই চুরির মুল পান্ডা। চোরাই কেবলের কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি।
তবে পুলিশের দাবি, ধৃতকে ৫ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জেরা করে এই চুরির কিনারা দ্রুত করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের ৩০০ কোটি টাকায় আসানসোল শহরে আন্ডার গ্রাউন্ড কেবলের মাধ্যমের বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply