ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতাল জুতো খুলতে বলায় ডিজিটাল এক্সরে রুমের কর্মীকে মার, থানায় অভিযোগ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Asansol News Today ) জুতো খুলে ঢুকতে বলায় অপরাধ! সামান্য এই কারণে রোগীর পরিবারের ১০/১২ জন উন্মত্ত সদস্যদের হাতে মার খেতে হলো আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগ লাগোয়া ডিজিটাল এক্সরে রুমের এক কর্মীকে। প্রহৃত ঐ কর্মীর নাম কিষাণ শর্মা। বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে। তাকে জেলা হাসপাতালে এমারজেন্সি বিভাগে ঐ কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনার জেরে গোটা হাসপাতালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ কর্মীরা আসেন। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জেলা হাসপাতালে এসে পৌঁছায় । তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হামলাকারীদের অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে পালায়।
শুক্রবার সকালে ঐ কর্মী লিখিত ভাবে গোটা ঘটনার কথা জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাসকে জানান। সেই অভিযোগটি সুপার এদিনই তদন্তের জন্য আসানসোল দক্ষিণ থানায় পাঠান।


হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত দশটা আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের বাবুয়াতলাওয়ের বাসিন্দা আমনা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা জেলা হাসপাতালে আসেন। বছর ৬০ এর আমনা খাতুনের হাত ভেঙে যাওয়ায় এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক এক্সরে করানোর বলেন। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এমারজেন্সি লাগোয়া ডিজিটাল এক্সরে রুমে। সেই সময় এক্সরে রুমে ডিউটিতে ছিলেন কিষাণ শর্মা এক কর্মী। তিনি এক্সরে রুমের নিয়ম মতো রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের জুতো খুলে আসতে বলেন। কিন্তু তারা জুতো না খুলে জোর করে এক্সরে রুমে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন ঐ কর্মী তাদেরকে ঢুকতে বাধা দেন। সেই বাধা পেয়ে ঐ রোগীর পরিবারের সদস্য ১০/১২ জন মহিলা ও পুরুষ কর্মীর উপরে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। এই সময় অন্য কর্মীরা খাবার খাচ্ছিলেন। ঘটনা দেখে তারা ছুটে আসেন। এই ঘটনার জেরে হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের সামনে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাসপাতালের অন্য কর্মীরা আসেন।


এই ঘটনায় হাসপাতালের কর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বিশেষ করে রাতে যেসব কর্মীরা কাজ করেন, তারা।
এই প্রসঙ্গে জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, এই ধরনের ঘটনা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়। কর্মীরা তো সাধারণ মানুষদেরকো পরিসেবা দেওয়ার জন্য আছেন। কিন্তু যে নিয়ম আছে তা তো মানতে হবে। এক্সরে রুম একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখানে যে কেউ জুতো পড়ে ঢুকতে পারেনা। তিনি আরো বলেন, প্রহৃত ঐ কর্মী আমাকে সব ঘটনার কথা লিখিত ভাবে বলেছেন। আমি তা আসানসোল দক্ষিণ থানায় জানিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
অন্যদিকে, পুলিশ জানায়, হাসপাতালের তরফে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply