সৃষ্টিনগর প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে এসে আপ্লুত প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সন্দীপ পাতিল
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোলের ” এসপিএল বা সৃষ্টিনগর প্রিমিয়ার লিগ” র ফাইনাল খেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ও প্রাক্তন ম্যানেজার সন্দীপ পাতিল। সৃষ্টিনগরের ওডিসি ক্লাবে হওয়া ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন ১৯৮৩ সালেট ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম এই সদস্য। তিনি এই লিগে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেন। খেলা শেষে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসানসোল সৃষ্টিনগরের মতো জায়গায় যেভাবে এই ধরনের প্রিমিয়ার লিগ খেলা হচ্ছে, তা খুবই প্রশংসনীয়। সব দেখেশুনে, আমার মনে হচ্ছে, এটা ভালোভাবে আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একটা সময় ছিল যখন সুনীল গাভাস্কার ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। তার পর শচীন তেন্ডুলকার এলেন। এখন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করছেন। তিনি বলেন, এই খেলোয়াড়দের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চললে, আসানসোলের তরুণরা আগামী দিনেও দেশকে গর্বিত করবে। তখন সৃষ্টিনগর প্রিমিয়ার লিগের মতো প্রতিযোগিতাগুলির আয়োজন খুব সহায়ক হবে বলে প্রমাণিত হবে। তিনি বিনয় চৌধুরী ও তার পুরো টিমকে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য প্রশংসা করেন। পাশাপাশি আসানসোলে যে ধরনের ভালবাসা পেয়েছেন তা তিনি কখনই ভুলতে পারবেন না। এদিন খেলা শেষে সন্দীপ পাতিল চ্যাম্পিয়ান ও রানার আপ দলের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
সৃষ্টি নগর প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম প্রধান সংগঠক ও বেঙ্গল সৃষ্টি কো- অপারেশনস হেড বিনয় চৌধুরী বলেন, আমরা সন্দীপ পাতিলের প্রতি কৃতজ্ঞ। যে যিনি তার ব্যস্ত সময়সূচী থেকে সময় বার করে এখানে এসে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন।তিনি বলেন, সৃষ্টি নগর প্রিমিয়ার লিগে তার আসা খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক প্রেরনা দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সৃষ্টি নগর প্রিমিয়ার লিগের আয়োজন করা হয়েছে এন্টারটেইনমেন্টের। কিন্তু সৃষ্টি নগরের নিজস্ব ক্রিকেট দলও রয়েছে। যে দল বিভিন্ন ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
এই বছরর সৃষ্টি নগর প্রিমিয়ার লিগের পুরুষ বিভাগে ” নিনজা ” চ্যাম্পিয়ানের শিরোপা জিতেছে। ” অ্যাভেঞ্জার্স ” হয়েছে রানার আপ । অন্যদিকে মহিলা বিভাগে ” প্রিডেটার ” চ্যাম্পিয়ান ও ” ড্রাগন ” রানার আপ হয়েছে। দুই বিভাগের দুই দলকে ট্রফির পাশা পাশি আর্থিক পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। ছিলো ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ট্রফি ও আর্থিক পুরষ্কার। এই বছরের সৃষ্টি নগর প্রিমিয়ার লিগে মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করেছিলো।