RANIGANJ-JAMURIA

খোলা মুখ খনিতে বিস্ফোরণ, ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামীণেরা ভাঙচুর

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী : ইসিএল এর কুনুস্টোরিয়া এরিয়ার নারায়ণকুড়ি খোলা মুখ খনিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে উঠল নারানকুড়ি মাঝপাড়ার বাড়ি ঘর। ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে পাঁচ ছটি বাড়িতে আছেরে পড়ে বিস্ফোরণের ফলে উড়ে যাওয়া বড় বড় পাথরের চাঙ্গর । যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ও ক্লাবঘর এই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনা ঘটার পরপরই এলাকার গ্রামীণেরা ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এলাকায় অসংখ্য গ্রামবাসী ইসিএলের ওই খোলা মুখ খনির কার্যালয়ে ব্যাপক পরিমাণ ভাঙচুর চালানোর সাথেই, সংলগ্ন এলাকায় থাকা যানবাহনেও ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ইসিএলের নিরাপত্তার ও পুলিশ প্রশাসনের বিশাল বাহিনী, তারপরও গ্রামীণদের ক্ষোভকে প্রশমন করা যায় না। তারা ও সি পি চত্বরে পৌঁছে ভাঙচুর চালানোর সাথেই দাবি করে, এরূপভাবে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে তারা কোনমতেই এই ওসিপি চালাতে দেবেন না।

এ মুহূর্তে ইসিসিএল এর সকল খনি আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসন সামাল দিচ্ছে পরিস্থিতি, গ্রামীণদের দাবি বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথম নয় এর আগেও বেশ কয়েক দফায় বিস্ফোরণ ঘটার পর তারা বিক্ষোভ দেখালেও প্রতিবারই ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে তারা দায়সারা মনোভাব দেখায়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যে রূপ ভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল বহু মানুষ জনের বাড়িতে এরূপভাবে বড় বড় পাথরের চাঙ্গর আছড়ে পড়ায় তা কোন মানুষজনের গায়ে লাগলে ঘটতে পারতো ভয়াবহ পরিস্থিতি এ বিষয়কে কখনোই তারা মেনে নিতে পারেন না বলেই দাবি করে জানান ইসেল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে এরূপভাবে বিস্ফোরণ না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই তারা কয়লা খনির উৎপাদন চালু করতে দেবেন নচেৎ অনুরূপভাবেই এখানে কয়লা খনি র উৎপাদন চালু করতে দেবেন না তারা বলেই দাবী করেছেন। এদিনের এই বিস্ফোরণের ঘটনা ও সামগ্রিক ঘটনা নিয়ে ইসিএল আধিকারিকদের কোন মতামত উঠে আসেনি। বর্তমানে সমগ্র এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে কয়লা খনির উৎপাদনের কাজ।

Leave a Reply