DURGAPUR

প্রার্থীর সামনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, বচসা

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, দুর্গাপুর : দুর্গাপুরের 12 নম্বর ওয়ার্ড আমরাই গ্রামে প্রার্থীর সামনেই হাতাহাতি।বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদ মিছিল করে প্রচার শুরু করার সময় তাকে সম্বর্ধনা জানানোর জন্য তৈরি ছিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।আর প্রার্থীর সামনে শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি বচসা।

প্রার্থীর সাথে ছিল শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় আর তার সামনেই শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েএকদিকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বহিঃসৃত শ্রমিক সংগঠনের নেতা শেখ শাহাবুদ্দিনের দলবলঅন্যদিকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বর্তমান শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় ও শেখ আমিরুলরহমানের দলবলএই দুই গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয় প্রার্থীর সামনে।


২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের রাশ সিটু র হাতবদল হয়ে শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির হাতে আসে।শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা শেখ শাহাবুদ্দিন সহ অন্যান্যরা এই ঠিকা শ্রমিক সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব পান। তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।একদিকে আমিনুর রহমান ও তার গোষ্ঠী আর অন্যদিকে শেখ শাহাবুদ্দিন ও তার গোষ্ঠী। মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল 12 নম্বর ওয়ার্ড। শেখ শাহাবুদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয় এর মাঝেই। কিন্তু তাদের যে অন্তদ্বন্দ্ব তা প্রকোট কারণ আকার ধারণ করে কিছুদিন আগে আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএনটিটি ইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের হাত ধরে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের কমিটিতে বদল আসার পর।

শেখ শাহাবুদ্দিন এবং তার সঙ্গীদের জায়গায় কমিটিতে রাখা হয় আমিনুর রহমান ও তার সঙ্গীদের। নতুন করে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ঘৃতাহুতি পড়ে । এতদিন ধিক ধিক করে জ্বলছিল আগুন। রবিবাসরীয় সকালে বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন প্রচারে। প্রথমেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় শেখ শাহাবুদ্দিনকে তৃণমূল কংগ্রেসের ২ নম্বর ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করার পর কীর্তি আজাদকে সঙ্গে নিয়ে শাহাবুদ্দিন ও তার দলবল আমরাই গ্রামের রাস্তায় মিছিল শুরু করেন । ৩০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে ছিল আমিনুর রহমান ও তার দলবল। কীর্তি আজাদকে নিয়ে শাহাবুদ্দিন ও তার দলবল সেখানে যাওয়া মাত্রই শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের হাতাহাতি। অস্বস্তিতে পড়ে প্রার্থী কীর্তি আজাদ সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা ।

প্রভাত চট্টোপাধ্যায় কেও দেখা যায় ঘটনাস্থলে । দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন কীর্তি আজাদ। সামনেই থাকা একটি মন্দিরে গিয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা যায় কীর্তি আজাদকে। ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শেখ শাহাবুদ্দিন বলেন, “”আমরা যখন প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল করছিলাম সেই সময় অনেক অবাঞ্ছিত লোক ঢুকে পড়ে আমাদের মিছিলে। তারাই মূলত গন্ডগোল করতে শুরু করে। আমি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাবো। “”আমিনুর রহমান বা তার গোষ্ঠীর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply